বিপিএসসির (বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন) পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার ঘটনায় বিচারিক তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করা হয়েছে। এতে গত ৫ জুলাই অুনষ্ঠিত রেলওয়ের ৫১৬টি উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদে পরীক্ষাসহ আগে অনুষ্ঠিত পরীক্ষা বাতিলের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বেসরকারি সংগঠন ‘সারডা সোসাইটি’র পক্ষ থেকে এর নির্বাহী পরিচালক মু. আরিফুর রহমান মুরাদ ভূঁইয়া এ আবেদনটি করেন।
সেদিন তিনি বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের নেতৃত্বে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে বিষয়টি উপস্থাপন করে রিট আবেদনের অনুমতি নেন। সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা জানান, রবিবার আবেদনটির ওপর শুনানি হতে পারে। রিট আবেদনে বিপিএসসি’র চেয়ারম্যান, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও রেল সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে বলে জানান রিটকারী আরিফুর রহমান মুরাদ ভূঁইয়া।
তিনি দেশ রূপান্তরকে বলেন, বিপিএসসির পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের মাধ্যমে উত্তীর্ণ ২৪তম থেকে ৪৫তম বিসিএস ক্যাডার ও নন-ক্যাডারদের তালিকা তৈরি এবং ঘটনার বিচারিক ও নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করতে কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না, প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে কঠোর শাস্তি নিশ্চিতে বিশেষ আইন প্রণয়ন প্রশ্নে রুলের আরজি জানানো হয়েছে।
তিনি বলেন, এখন সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নানা দুর্নীতির তথ্য উঠে আসছে। সঙ্গত কারণেই প্রশ্ন উঠছে। গাড়ি চালক আবেদন আলীর মতো লোকজন শুধু প্রশ্ন ফাঁস করে কোটি কোটি টাকা কামিয়ে নিয়েছে। অন্যদিকে ফাঁস হওয়া প্রশ্নে অনেকেই বড় কর্মকর্তা হয়ে গেছেন। এসব কারণে বিচারিক তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে এ রিট আবেদনটি করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল) সামিউল আলম সরকার দেশ রূপান্তরকে বলেন, প্রশ্নফাঁসের তদন্ত চেয়ে বৃহস্পতিবার একটি রিট আবেদন মেনশন (উপস্থাপন) করা হয়েছে। আবেদনটির ওপর রবিবার শুনানি হতে পারে।