রাজশাহীতে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় দুই পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। আহত দুই পুলিশ সদস্যরা হলেন, পুলিশ পরির্দশক মো. আলাউদ্দিন ও এসআই শাহাদত হোসেন। এদের মধ্যে শাহাদত নগরীর শিরোইল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ। আর আলাউদ্দিন রাজশাহী জেলা পুলিশ লাইনে কর্মরত আছেন। তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রাজশাহী মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার জামিরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চত করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, দুপুর একটার দিকে রাজশাহী মহিলা কলেজ রোডে বিক্ষোভ মিছিল বের করে কোটা বিরোধী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি মহিলা কলেজের সামনে পৌঁছলে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় পুলিশের সাথে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। শিক্ষার্থীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় পুলিশ টিয়ারশেল ও বেশ কিছু রাবার বুলেট ছুড়ে। প্রায় আধাঘণ্টা পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার জামিরুল ইসলাম বলেন, ছাত্ররা রাজশাহীর মহিলা কলেজ রোডে একটি মিছিল বের করেন। পরে সেখানে পুলিশের সাথে সংঘর্ষ ঘটে। এতে দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. শংকর কুমার বিশ্বাস বলেন, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহত দুই পুলিশ সদস্য ভর্তি আছেন। এদের মধ্যে শাহাদাতের মাথায় আঘাত আছে। আলাউদ্দিনের হাতে আঘাত আছে। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়াও মোট ৯ জন ছাত্র ভর্তি হয়েছে। এদের মধ্যে নাটোরের এক ছাত্র আছেন।
এদিকে সকাল থেকে রাজশাহীর সাহেববাজার এলাকায় বিপুল সংখ্যক আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মী অবস্থান নেয়। এ সময় অনেকেই লাঠি ও দেশীয় অস্ত্র হাতে শহরে অবস্থান নেন। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরাও নগরীতে লাঠি হাতে মিছিল করে।