রোববার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৪ বৈশাখ ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

‘আসনা’র প্রভাবে ব্যাপক বৃষ্টি, অন্ধ্র-তেলেঙ্গানায় ২৪ জনের মৃত্যু

আপডেট : ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:২৩ পিএম

ঘূর্ণিঝড় আসনার জেরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপে টানা বৃষ্টিতে ভাসছে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলেঙ্গানা। গত কয়েকদিন ধরে লাগাতার বৃষ্টিতে অন্তত ২৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে দুই রাজ্যে। দুর্যোগের জেরে এই রাজ্যের অন্তত শতাধিক ট্রেন বাতিল করা হয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, সোমবার সকালে বৃষ্টি কিছুটা থামলেও আবহাওয়া দপ্তরের পক্ষ থেকে এখনও সতর্কতা জারি রয়েছে। প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে না যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উদ্ধারকাজ চালিয়ে যেতে নতুন করে এনডিআরএফের আরও ২৬টি দলকে পাঠানো হয়েছে বিপর্যস্ত এলাকাগুলোতে। 

ভারী বৃষ্টিতে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা বিজয়ওয়াড়া জেলার গ্রামীণ অংশে। এখানকার আম্বাপুরম, নয়নাভরম, নুন্না এবং পাথাপাডু ভেসে গিয়েছে। পুলিশ এবং এনডিআরএফ উদ্ধারকাজ শুরু করেছে। বহু মানুষ ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। স্থানীয়দের অন্যত্র সরাচ্ছে প্রশাসন। 

দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু ও রেবন্ত রেড্ডিকে ফোন করে গোটা পরিস্থিতির খোঁজ খবর নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সব রকম সাহায্যের আশ্বাসও দিয়েছেন।

অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু নিজে পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন। রাজ্য প্রশাসনকে যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। ত্রাণ বিতরণ করতে আধুনিক প্রযুক্তি, ড্রোন ব্যবহার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

এদিকে বন্যা পরিস্থিতিতে প্রায় ১৭ হাজার মানুষকে উদ্ধার করে অন্যত্র সরানো হয়েছে। শুধুমাত্র বিজয়ওয়াড়াতে ২ লাখ ৭৬ হাজার মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত। এদিকে তেলেঙ্গানায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হায়দরাবাদ। শহরের একাধিক জায়গা চলে গিয়েছে পানির তলায়। 

দুই রাজ্যে একাধিক নদীর পানিও বাড়ছে বৃষ্টির কারণে। যে কোনো সময় বড় বিপদ ঘটতে পারে এই আশঙ্কায় নদী তীরবর্তী এলাকা থেকে মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে প্রশাসন। 

আবহাওয়া অফিসের দাবি, আগামী ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত একইরকম বৃষ্টিপাত চলবে অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলেঙ্গানাতে। ফলে ক্ষয়ক্ষতি আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত