মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই মাছ ধরার প্রস্তুতি মৌসুমি জেলেদের

আপডেট : ১১ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৪৬ এএম

ইলিশ প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষায় সরকারী নির্দেশ উপেক্ষা করে বরিশালের সন্ধ্যা নদীতে মাছ ধরতে মৌসুমি জেলেরা প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রায় শতাধিক মৌসুমি জেলে গোপনে মাছ ধরার জাল ও নৌকা জোগার করে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে রেখেছেন বলে একাধিক গোপনসুত্র প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেছে।

জানা যায়, আগামী ১৩ অক্টেবার থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত  টানা ২২ দিন নদীতে মাছ ধরতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। সরকারি নিষেধাজ্ঞার সুযোগ কাজে লাগাতে সন্ধ্যা নদীর বাবুগঞ্জ, উজিরপুর,ও বানারীপাড়া উপজেলার প্রায় ১৫টি পয়েন্টে ও সীমান্তবর্তী এলাকায় মাছ ধরতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন প্রায় শতাধিক কথিত জেলে চক্র ও অসাধু ব্যবসায়ীরা। ওই চক্রর কাছ থেকে কম দামে ইলিশ মাছ ক্রয় করতেও প্রস্তুত রয়েছে একাধিক প্রভাবশালী অসাধু মাছ ব্যবসায়ীরা।

সারাদেশে ইলিশ মাছ ধরা বন্ধের নির্দেশনা থাকলেও সন্ধ্যা নদীর ১৫টি পয়েন্ট এলাকা জুড়ে আনন্দ আর উৎসব শুরু হয় ওই সব এলাকাগুলেতে। প্রকাশ্যে মাছ বিক্রি করার জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে রেখেছেন। কিছু সংখ্যক জেলেদের মাছ ধরা বন্ধ থাকার সুযোগে নানা পেশার মানুষরা নেমে পড়ে মাছ ধরতে। সন্ধ্যা নদীর বাবুগঞ্জ উপজেলার রমজানকাঠী, টেংরাখালী, উজিরপুর উপজেলার কমলাপুর, দাসেরহাট, কালিরবাজার, চতলবাড়ী, চৌধুরীর হাট এলাকায়।

মৎস্য অধিদপ্তর,আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাছ শিকার রোধে পদক্ষেপ নিতে ব্যস্ত। আর অন্যদিকে ওই সব মৌসুমি জেলারা প্রস্তুত মাছ শিকারের জন্য। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক জেলে জানান, এক শ্রেণির অসাধু মৎস্য ব্যবসায়ীরা মৌসুমি জেলেদের ভাড়া করে মাছ ধরতে।

প্রজননের সময় মাছ ধরার জন্য চলতি মৌসুমে দেশের সবদিক বিবেচনা করে অসাধু জেলেরা মহা উৎসবে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন। সন্ধ্যা নদীর আশপাশ এলাকাগুলোতে এখন মাছ ধরার উৎসবের নগরীতে পরিণত হচ্ছে।

উজিরপুর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মো. সাখাওয়াত হোসেন জানিয়েছেন, নিষেধাজ্ঞার ২২ দিন সন্ধ্যা নদীর মোহনায় নিয়মিত অভিযান চালাবে প্রশাসন। কোনো ব্যক্তি মাছ শিকারে নামলে তাকে শাস্তি দেওয়া হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত