সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

ইসকন নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রশ্ন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত: মির্জা ফখরুল

আপডেট : ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:২০ পিএম

বর্তমান পরিস্থিতিতে সংকট-সমস্যার উত্তরণে ‘অনৈক্য সৃষ্টি না করে ঐক্যের মাধ্যমে সামনে এগুতে হবে’ মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, আজকে যখন আমরা ভারতবর্ষের মিডিয়ার বিষয়গুলো দেখতে পাই…কাল রাতেই আমাকে কয়েকজন ফোন করেছিলেন। তাদের একটাই মাত্র লক্ষ্য, প্রশ্ন যে, ইসকনের ব্যাপারে আপনারা কি করছে?’

‘এই প্রশ্নটা একেবারেই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত… একটা অবস্থা তারা তৈরি করতে চায় সেই অবস্থা নিয়ে প্রথমবার ফেল করেছে… এখন নতুন করে আবার সেই অবস্থা তৈরি করতে চায়। এটার ব্যাপারে আমাদেরকে সজাগ থাকতে হবে।’

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে এক আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে জাতীয় কবিতা পরিষদের উদ্যোগে ‘রাষ্ট্র পুনর্গঠনের লেখক-শিল্পীদের ভূমিকা’ শীর্ষক এই্ আলোচনা সভা হয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের এখন লক্ষ্য একটাই হওয়া উচিত সেই লক্ষ্য হচ্ছে সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণের জন্যে… যে সংস্কারগুলো প্রয়োজন সেই সংস্কারগুলো ন্যুনতম করে আমরা একটা সেই ধরনের একটা রাষ্ট্র নির্মাণের জন্য নির্বাচন করে পার্লামেন্টে যাই। অনেকেই বলছেন যে, নির্বা্চনই তো গণতন্ত্র নয়….অবশ্যই না। কিন্তু তার জন্যে(গণতন্ত্রের জন্য) একটা প্রক্রিয়া লাগবে তো… সেই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যদি না যাই সেই জায়গায় আমরা পৌঁছাতে পারব না।’

তিনি বলেন, আমি আমার তরুণ ভাইদেরকে আহ্বান জানাব যে, আপনারা অনেকে দায়িত্ব নিয়েছেন, দায়িত্বে এসেছেন… এই দায়িত্বটা দায়িত্বশীলভাবে পালন করতে হবে। গোটা জাতিকে সামনে রেখে এই দায়িত্ব পালন করতে হবে। আমরা এমন কিছু করব না, এমন কোনো হঠকারিতা করব না যে হঠকারিতার মধৗ দিয়ে আমরা আবার অন্ধকারের মধ্যে চলে যাবো।”

দেশের প্রান্তিক ও সাধারণ মানুষের অবস্থা তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমার যে মানুষগুলোর সলিম উদ্দিন, কলিম উদ্দিন…. কিছুক্ষন আগে সেলিম সাহেব (মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম) বলেছেন, সেই মানুষগুলোর(সাধারণ মানুষ)অবস্থা হালুয়া টাইট…এই হাওয়া টাইট যাতে না হয় অর্থা সে যেন একটা আশার আলো দেখতে পায়…সে যেন অন্তত এইটুকু বলতে পারে হ্যাঁ আগের চেয়ে আমি একটু ভালো আছি। এটা কিন্তু খুব জরুরী …. আজকে সেই জায়গায় আমরা যাওয়ার চেষ্টা করি।’

তিনি বলেন, ‘আজকে অত্যন্ত দুর্ভাগ্য যে- ৫৩ বছর হয়ে গেছে আমরা শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর এটাই আমরা করতে পারিনি…. আমরা সব সময় যুদ্ধ করছি, লড়াই করছি, নিজেরা ভাইয়ে ভাইয়ে রক্ত ঝরাচ্ছি… কিন্তু ওই পথে যাওয়ার জন্য কেউ সেভাবে চেষ্টা করছি না।’

ফ্যাসিবাদ যেকোনো সময় আবার ফিরে আসতে পারে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা সেই রাস্তা যেন তৈরি করে না দেই। আজকে আমরা দুর্ভাগ্যজনকভাবে এমন কতগুলো কাজ করছি যে কাজগুলোর মধ্য দিয়ে কিন্তু ফ্যাসিবাদ ফিরে আসার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে গেছে।’

তিনি বলেন, ‘আমি তাই অনুরোধ কবর এখানে কবিরা উপস্থিত আছেন, সাহিত্যিকরা উপস্থিত আছেন… আমি মনে করি আপনাদের এখন দায়িত্ব অনেক বেড়েছে…. আগে পারেননি বলে তাই এখন পারবেন না। এখন আপনারা জনগনকে সঠিকভাবে উদ্ভুদ্ধ করুন, অনুপ্রাণিত করুন এবং যে পথে আমরা যে যে চাই সেই পথে যেন আমরা এগিয়ে যাই। সবার মত যে এক হবে তা তো না। আমাদের ভিন্ন ভিন্ন মত থাকবে, এসব মতগুলোকে নিয়ে আমাদের এক সাথে সেই ধরনের একটা শত ফুল ফুটতে দিতে হবে এবং সেটা নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।’

কবিতা পরিষদের আহ্বায়ক কবি মোহন রায়হানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব কবি রেজাউদ্দিন স্টালিনের সঞ্চালনায় বিএনপির নুরুল ইসলাম মনি, গণঅধিকার পরিষদের রাশেদ খান, কবি হাসান হাফিজ, লেখক আবু সাঈদ, কবি সোহরাব হাসান, কবি মাহবুব মোর্শেদ প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত