ইউরোপ এবং এশিয়া ঘুরে ব্রাজিল সুপারস্টার নেইমার ফিরে গেছেন নিজ দেশের ক্লাব সান্তোসে। প্রায় ১২ বছর আগে এই ক্লাব থেকেই তার উত্থানপর্ব শুরু হয়েছিল। তিনি হয়ে উঠেছিলেন বিশ্বের অন্যতম সেরা তারকা। সৌদি ক্লাব আল হিলাল থেকে আবারও নেইমার ফিরলেন সান্তোসে। গতকাল রাতে গ্যালারিভর্তি দর্শকদের সামনে ক্লাবের হয়ে তার নতুন করে অভিষেকও হয়ে গেল।
‘কপালে থাকলে ছয় মেরে দিব’ –শেষ বলের আগে আলিসসম্প্রতি সান্তোসের সঙ্গে ৬ মাসের চুক্তি করেছেন নেইমার। এরপর নিজের ৩৩তম জন্মদিনে বোতাফোগো এফসির বিপক্ষে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে বদলি খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামেন ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার। নেইমারের নামার সময় সান্তোস ১-০ গোলে এগিয়ে ছিল। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে একটি গোল খেয়ে ম্যাচটি ১-১ সমতায় শেষ হয়। নেইমার গোল করতে না পারলেও দেখিয়েছেন তার জাদুকরী ড্রিবলিং।
মিরাজের নেতৃত্বের ভুলেই খুলনার হার?ইউরোপ যাওয়ার আগে সান্তোসের হয়ে ৬টি শিরোপা জিতেছিলেন নেইমার। যার মধ্যে রয়েছে ২০১১ সালে কোপা লিবার্তাদোরেস শিরোপা। ২০১৩ সালে সান্তোস থেকে তিনি বার্সেলোনায় যোগ দেন। সেখানে মেসি-সুয়ারেজের সঙ্গে বিখ্যাত ‘এমএসএন’ ত্রয়ীর একজন হয়ে ওঠেন। বার্সা থেকে পরে ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ট্রান্সফার ফি-তে ২০১৭ সালে যোগ দেন পিএসজিতে।
৪০-এর রোনালদোর বিলিয়ন ডলারের সাম্রাজ্য, ২১টি কোম্পানিফরাসি ক্লাবটিতে সময় ভালো কাটেনি নেইমারের। চোটাঘাতের পাশাপাশি সতীর্থদের সঙ্গে দ্বন্দ্ব তাকে ব্যতিব্যস্ত করে তোলে। সেখান থেকে ২০২৩ সালের গ্রীষ্মে সৌদি প্রো লিগের ক্লাব আল-হিলালের সঙ্গে চুক্তি সই করেন নেইমার। কিন্তু ইনজুরির কারণে মাঠেই নামা হচ্ছিল না তার। একপর্যায়ে বিরক্ত হয়ে যায় আল হিলাল। নেইমারও সান্তোসে ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করলে সমঝোতার মাধ্যমে আল হিলালের সঙ্গে চুক্তি বাতিল হয়।
