ধানমন্ডির ৩২ নম্বর একটি অভিশপ্ত বাড়ি বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদিন ফারুক।
আজ রবিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে তৃণমূল নাগরিক আন্দোলনের উদ্যোগে অবিলম্বে নির্বাচন কেন্দ্রীক সংস্কার শেষ করে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে প্রতীকী অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
জয়নুল আবেদিন ফারুক বলেন, ‘যে ৩২ নম্বর থেকে গুম খুনের নির্দেশ যেতো তা ভেঙে ফেলা ঠিক হয়েছে। ধানমন্ডির ৩২ নম্বর একটি অভিশপ্ত বাড়ি। এই বাড়ি থেকে এমন কোনো অন্যায় নির্দেশনা নেই যা দেওয়া হয়নি। সংসদের সামনে আমাকে ডিবি হারুন নির্যাতন করে এই বাড়িতেই সেই খবর পৌঁছে দিয়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘পালিয়ে যাওয়া ফ্যাসিস্ট কিভাবে ঘোষণা দিয়ে বক্তব্য দেয়। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কি করেন? সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলরা কি করেন। তার উসকানিমূলক বক্তব্যের কারণেই দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছে। ফ্যাসিবাদের দোসররা নতুন করে ষড়যন্ত্র করতে শুরু করেছে। এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ব্যর্থ হবে। তাদের কোনভাবেই ব্যর্থ করতে দেওয়া যাবে না।’
প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, ‘আপনি একজন ভালো মানুষ, প্রজ্ঞাবান মানুষ। সংস্কারের নামে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হলে আরও দেশ গভীর সংকটে পড়ে যাবে। অবিলম্বে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করুন, গণতান্ত্রিক ও নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিন। দোসররা তখন আর কোনো সুযোগ নিতে পারবে না।’
তৃণমূল নাগরিক আন্দোলনের সভাপতি মফিজুর রহমান লিটনের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, বিএনপিসহ তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক সাইফ আলী খান, বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি বিলকিস ইসলাম, এনডিপির মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, জাতীয়তাবাদী তাঁতীদল কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ড. কাজী মনিরুজ্জামান, ওলামা দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা আলমগীর হোসেন, জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের সাবেক আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ইসমাইল হোসেন সিরাজী, মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. ইব্রাহিম হোসেন, কৃষকদল কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রমিজ উদ্দিন রুমি, পিপলস পার্টির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বিলকিছ ইসলাম, পল্টন থানা বিএনপি নেতা ফিরোজ পাটোয়ারী।