ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. জাহাঙ্গীর আলমের পদ স্থগিতের প্রতিবাদে ও স্বপদে পুনর্বহালের দাবিতে বিভাগের বিভিন্ন কক্ষে তালা ঝুলিয়েছে শিক্ষার্থীরা। একইসঙ্গে সব ধরনের ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছে তারা।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ভবনের ১১ তলায় বিভাগের শিক্ষক, অফিস ও শ্রেণিকক্ষে তালা লাগিয়ে দেয় সম্মিলিত শিক্ষার্থীরা।
পরে দরজায় পোস্টার সেঁটে দেন শিক্ষার্থীরা। পোস্টারে লেখা, ‘জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো জাহাঙ্গীর আলমকে তার স্বপদে পুনর্বহাল না করা অবধি ‘টোটাল শাটডাউন কর্মসূচি’ অব্যাহত থাকবে।’
এর আগে মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে চেয়ারম্যানের পদ স্থগিতের প্রতিবাদে গত রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান বরাবর আবেদনপত্র জমা দেন বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের দাবি, যে অভিযোগে চেয়ারম্যানকে অপসারণ করা হয়েছে তা আগেই ভিত্তিহীন প্রমাণিত হয়েছে। তাই চেয়ারম্যানকে তার স্বপদে পুনর্বহালের আগ পর্যন্ত আমরা সব ধরনের ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পাশাপাশি কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিভাগের বিভিন্ন কক্ষ তালাবদ্ধ করা হয়েছে।
বিভাগে তালা ঝুলানোর বিষয়ে শিক্ষার্থীরা জানায়, সব ব্যাচের শিক্ষার্থীদের সম্মতিতে আমাদের পূর্ববর্তী কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় তালা লাগানো হয়েছে।
জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী নেওয়াজ শরীপ আরমান বলেন, তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী প্রশাসন থেকে আগামী রবিবারের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। কিন্তু এর আগেই আমাদের সঙ্গে ডিপার্টমেন্ট থেকে আলোচনার জন্য চাপ দিচ্ছে। ফলে শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে কমপ্লিট শাটডাউন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিভাগের সব রুম তালাবদ্ধ করা হয়েছে।
ঢাবি প্রশাসন থেকে কোনো ইতিবাচক সিদ্ধান্ত আসা পর্যন্ত বিভাগে কমপ্লিট শাটডাউন (সকল প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ) কর্মসূচি চলমান থাকবে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক তৈয়েবুর রহমান বলেন, এটা তেমন গুরুতর নয়। সমস্যাটি নিয়ে ইতিমধ্যে একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি হয়েছে। তাদের প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে শিগগিরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগে শিক্ষার্থীদের তালা মারার বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমদের যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এ মুহূর্তে আমি ঢাকার বাইরে রয়েছি। তালা মারার বিষয়ে আমি এখনো কিছু জানিনা। তবে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত চলছে। শেষ হলে বিস্তারিত বলা যাবে।