ঢাকার কেরানীগঞ্জে সাংবাদিকদের থানা তাতী লীগের সাবেক সভাপতি মোল্লা ফারুকের দেয়া হুমকির প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কেরানীগঞ্জের কদমতলীতে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে কেরানীগঞ্জে কর্মরত সাংবাদিকদের পাশাপাশি কেরানীগঞ্জ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতা ও কেরানীগঞ্জের নানা শ্রেণি পেশার সচেতন নাগরিকরা অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে দৈনিক প্রথম আলোর কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি ইকবাল হোসেন রতন বলেন, বিগত দিনে মামলা হামলা এমনকি কালো আইন দিয়ে সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করার ধারা এখনও অব্যাহত আছে। আমরা এই বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলেও সারা দেশে সাংবাদিকরা নিপীড়িত হচ্ছে। কেরানীগঞ্জে সেই বিগত আমলের আওয়ামী লীগ নেতা একটা দলে যোগ দিয়ে, আবার সেই পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসতে চাচ্ছে। তারা সাংবাদিকদের হুমকি দুমকিসহ নানাভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে।
এ সময় সাংবাদিক রাজু আহমেদ বলেন, বলা হয় ৫ আগস্ট দেশ স্বাধীন হয়েছে। দেশ স্বাধীন হলে সমস্ত পেশার ন্যায় সাংবাদিকতাও স্বাধীন হয়েছে আমরা ধারণা করতে পারি। কিন্তু আমরা মাঠে ঘাটে কাজ করতে গিয়ে দেখছি, ৫ আগস্টের আগে আমরা যেমন হামলার শিকার হতাম–হুমকির শিকার হতাম, ৫ আগস্টের পরেও আমরা তেমন হামলার শিকার হচ্ছি- হুমকির শিকার হচ্ছি। শুধু দল বদলেছে কিন্তু হুমকি বদলায়নি। আমাদের ওপর অত্যাচার বদলায়নি। আমরা সাংবাদিক সমাজ এর থেকে প্রতিকার চাই। আমরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে চাই। হুমকি দামকি দিয়ে সাংবাদিকদের দমিয়ে রাখা যাবে না।
এ সময় উপস্থিত সাংবাদিক ও মানববন্ধনকারীরা মুক্ত সাংবাদিকতা চর্চা, সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও হুমকিদাতা মোল্লা ফারুককে অনতিবিলম্বে আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানান। এর আগে কেরানীগঞ্জের আলো পত্রিকার সম্পাদককে হুমকির ঘটনায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা তাতী লীগের সাবেক সভাপতি মোল্লা ফারুকের বিরুদ্ধে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ ও একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।