বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন পুনর্বহাল এবং মজলুম জননেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে গাজীপুর মহানগর ও জেলা জামায়াতের যৌথ উদ্যোগে মঙ্গলবার সকালে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল থেকে দলটির শত শত নেতাকর্মী মিছিল নিয়ে শিববাড়ি মোড়ে এসে হাজির হয়। এ সময় মিছিলে স্লোগানে উত্তাল হয়ে উঠে গোটা এলাকা। হাজারো নেতা-কর্মীর পদচারণায় এক বিশাল গণজোয়ারে পরিণত হয় শহরের শিববাড়ি এলাকা।
ইসলামী ছাত্র শিবিরের বিপুল সংখ্যক সদস্যও এতে যোগ দেন। মুহূর্তেই পুরো এলাকা মিছিলের নগরীতে রূপ নেয়। শিববাড়ি মোড়ে জমায়েত হয়ে হাজারো মানুষ ঐক্যবদ্ধ কণ্ঠে একই দাবি তুলে ধরেন— ‘এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তি চাই! জামায়াতের সাংবিধানিক অধিকার ফিরিয়ে দাও!’
সমাবেশের শুরুতে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত করেন গাজীপুর মহানগর জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন। এরপর একে একে বক্তারা অবিলম্বে জামায়াতে ইসলামীর গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য অধ্যক্ষ মুহাম্মদ ইজ্জত উল্লাহ বলেন, ‘গণতন্ত্র মানে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা। কিন্তু আজ সেই স্বাধীনতা হরণ করা হয়েছে। ইসলামপন্থীদের কণ্ঠরোধের চেষ্টা চলছে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই— এটিএম আজহারুল ইসলামকে মুক্তি দিতে হবে, জামায়াতের নিবন্ধন ফিরিয়ে দিতে হবে। অন্যথায় জনগণকে সাথে নিয়ে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য মুহাম্মদ আবুল হাশেম খান, গাজীপুর জেলা আমীর ড. মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, মহানগর নায়েবে আমীর মুহাম্মদ খায়রুল হাসান, জেলা নায়েবে আমীর মাওলানা সেফাউল হক, ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ সালাহ উদ্দিন আইয়ুবী।
সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন গাজীপুর মহানগর জামায়াতের আমীর অধ্যাপক মুহা. জামাল উদ্দীন। তিনি বলেন, ‘এই আন্দোলন থেমে যাবে না। যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের ন্যায্য অধিকার পুনরুদ্ধার না হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ব না।
সমাবেশ শেষে গাজীপুর মহানগরজুড়ে এক বিশাল মিছিল বের হয়, যা চান্দনা চৌরাস্তা পর্যন্ত গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে হাজারো মানুষ অংশ নেন, স্লোগানে প্রকম্পিত হয় নগরী।
সমাবেশের সঞ্চালনায় ছিলেন গাজীপুর জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মুহাম্মদ শফিউদ্দিন এবং মহানগর সেক্রেটারি আবু সাঈদ মুহাম্মদ ফারুক। বক্তারা স্পষ্ট জানিয়ে দেন, শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলবে, তবে দাবি মানা না হলে আরও বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।