রাষ্ট্রের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত হয়েছে সাফজয়ী বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। সে দলের কোচ হিসেবে ২০ ফেব্রুয়ারি সেই পদক নিতে যাওয়ার কথা ছিল ব্রিটিশ কোচ পিটার বাটলারের। অনুষ্ঠানস্থলে খুব কাছে থাকা সত্যেও বাটলার জাননি নেই অনুষ্ঠানে। এমনকি তারা দুই সহকারী কোচ মাহবুবুর রহমান লিটু ও মাসুদ আহমেদ উজ্জ্বলও নানা অযুহাত দেখিয়ে অনুষ্ঠানে জাননি। যা নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়েছে। রবিবার আরব আমিরাতগামী বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের সংবাদ সম্মেলনে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে বাটলার যা বললেন, তাতে দায় অনেকটাই বর্তায় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের ওপর। এই অনুষ্ঠানে যে যেতে হবে, সেটা বাটলারকে জানানো হয় ২০ ফেব্রুয়ারি ভোরে।
সংবাদ সম্মেলনে কোচদের অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকার কারণ জানতে চাওয়া হয়েছিল বাফুফের নারী কমিটির প্রধান মাহফুজা আক্তার কিরণকে। দেশে না থাকায় তিনিও ছিলেন না সেই অনুষ্ঠানে। প্রশ্নের উত্তরে কিরণ বলেন, 'আমার মনে হয় এটা কোচকে জিজ্ঞেস করলেই ভালো হয়। আমি দেশে ছিলাম না, কোচ কেন যায়নি, সেটা যারা অরগানাইজ করেছে তারাই বলতে পারবে।' পাশে থাকা বাটলার অবশ্য কারণটা ব্যাখ্যা করেছেন, 'প্রথমত আমি সকাল সাড়ে ছয়টার আগ পর্যন্ত কোন আমন্ত্রণ পাইনি, যা সম্ভবত একটি ভুল বোঝাবুঝির ফলে হয়েছে। যাই হো এ নিয়ে আমার কোন সমস্যা নেই। দ্বিতীয়ত আমরা একটা ট্রেনিং সেশনে ব্যস্ত ছিলাম, যা ৯টা পর্যন্ত চলছিল এবং তৃতীয়ত, আমি ভীষণভাবে ফ্লুতে আক্রান্ত ছিলাম, ভালো অনুভব করছিলাম না। যার কারণে পদক গ্রহণের জন্য উপস্থিত হতে পারিনি।' তবে কোচ পুরস্কারটি অত্যন্ত সম্মানজনক বলে মনে করেছেন এবং সব সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
এদিকে একুশে পদকের অনুষ্ঠানে না যাওয়ার পেছনে সহকারী দুই কোচ দিয়েছিলেন ভিন্ন ভিন্ন অযুহাত। কোচরা নানা যুক্তি দিলেও বোঝাই গেছে, ১৮ বিদ্রোহী ফুটবলারের সঙ্গে এক মঞ্চে উপস্থিত থাকতে চাননি তারা।