গাজীপুরের শ্রীপুরে একদিনের ব্যবধানে দুই শিশু ধর্ষণ শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় এক ধর্ষককে গণধোলাই দিয়ে জনতা পুলিশে দিয়েছে। অপর ধর্ষককে জনতার অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। ধর্ষণের অভিযোগে মাদ্রাসা শিক্ষকসহ দু’জনকে আটক করা হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যায় বরমী ইউনিয়নের সাতখামাইর দরগাচালা এলাকায় এক বখাটে আট বছরের এক শিশুকে কৌশলে পাশের বনে নিয়ে ধর্ষণ করে। অপরদিকে বৃহস্পতিবার বিকালে মাওনা ইউনিয়নের মাওনা উত্তরপাড়া এলাকায় মাদ্রাসা শিক্ষক ৯ বছরের এক শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করে।
আটক আরমান মিয়া (২৬) পাশের পাগলা থানার নিগুয়ারি গ্রামের বাসিন্দা। সে হক্কের মোড় এলাকায় ভাড়া থাকতেন। অপরদিকে মাদ্রাসা শিক্ষক মাওলানা হেদায়েত উল্লাহ (৩৪) নেত্রকোনা সদরের জিগাতলা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি মাওনা উত্তর পাড়া বাজার এলাকায় একটি বিল্ডিং বাসা ভাড়া নিয়ে মাদ্রাসা খুলে পরিচালনা করছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, সন্ধ্যায় দরগাচালা এলাকায় শিশুর কান্না শুনে পাশের বনে গিয়ে আহত অবস্থায় শিশুকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় ধর্ষক আরমানকে ধরে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দিয়েছে লোকজন।
একই দিন সন্ধ্যায় মাওনা উত্তর পাড়ায় বাগে জান্নাত হাফেজিয়া মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা হেদায়েত উল্লাকে লোকজন আটক করে অবরুদ্ধ করে রাখলে পুলিশ এসে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
অভিযুক্ত শিক্ষক বলেন, শয়তানের ধোঁকায় পড়ে খারাপ কাজ করে ফেলেছি। আমার ভুল হয়ে গেছে।
শ্রীপুর মডেল থানার ওসি (তদন্ত ) শামীম আকতার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল গিয়ে আহত এক শিশুকে উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। আটক করা হয়েছে অভিযুক্ত ধর্ষককে। অপরদিকে রাতে মাওনা এলাকা থেকে অপর অভিযুক্ত ধর্ষককে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে। এ দু’টি ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।