মাগুরায় বড় বোনের বাড়িতে বেড়াতে এসে ধর্ষণের শিকার ৮ বছরের শিশুর পক্ষে আজও বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার দুপুরে শিক্ষার্থীদের একটি মিছিল চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রধান ফটকে অবস্থান নিয়ে দ্রুত বিচারের মাধ্যমে ধর্ষকদের ফাঁসির রায় কার্যকরের দাবিতে শ্লোগান দিতে থাকে।
এ সময় মাগুরার সর্বস্তরের ছাত্র-জনগণের পক্ষে প্রশাসনের কাছে ৭ দফা দাবি তুলে ধরেন বিক্ষোভকারীরা। ৭ দফায় তারা উল্লেখ করেন, অবিলম্বে শিশু (আছিয়া) ধর্ষণ ও হত্যা চেষ্টা মামলার তদন্ত ও বিচার করতে হবে। দোষীদের জনসম্মুখে বিচার কার্যকর করতে হবে। ধর্ষকদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে সরকারি আইন প্রণয়ন করে অবিলম্বে ধর্ষিতাকে প্রদান করতে হবে। সমাবেশ শেষে ৬ সদস্যের একটি দল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে স্মারকলিপি জমা দেন।
এর আগে রবিবার রাতে আসামিদের মাগুরার চিফ জুডিসিয়াল আদালতে উপস্থিত করে রিমান্ড শুনানি হয়। চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আব্দুল মতিন প্রধান অভিযুক্ত হিটু শেখকে ৭ দিন ও আসামি জাহিদা বেগম, সজীব শেখ ও রাতুল শেখকে ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
প্রসঙ্গত, ৫ মার্চ ভোর রাতে শহরের নিজনান্দুয়ালী এলাকায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে এসে ধর্ষণের শিকার ও হত্যাচেষ্টার শিকার হয় শিশুটি। বর্তমানে সে মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা সিএমএইচে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
চার মাস আগে মাগুরা শ্রীপুর উপজেলার সব্দালপুর ইউনিয়নের জারিয়া গ্রামের ফেরদৌস শেখের মেয়ের সাথে হিটু মিয়ার ছোট ছেলে সজীবের বিয়ে হয়। স্থানীয় জারিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে লেখাপড়া করা মেয়েটি তার বোনের বাড়িতে কয়েক দিন আগে বেড়াতে আসে।