মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) যোগ দেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবলপ্রেমীদের হৃদয় জয় করেছিলেন লিওনেল মেসি। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তার জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েছে। সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে, ভক্তদের মনে ক্ষোভ জমেছে, যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও স্পষ্ট হয়ে উঠছে।
শেষ তিনটি ম্যাচে ইন্টার মায়ামির জার্সিতে মাঠে নামেননি মেসি। হিউস্টন ডায়নামো, ক্যাভেলিয়ের (প্রথম লেগ) এবং সর্বশেষ শার্লট এফসির বিপক্ষে বেঞ্চে বসেই কাটান আর্জেন্টাইন তারকা। অথচ এসব ম্যাচ দেখতে স্টেডিয়ামে হাজির হন অসংখ্য সমর্থক, যাদের অনেকেই মেসিকে খেলতে না দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
মায়ামির কোচ হাভিয়ের মাচেরানো অবশ্য জানিয়েছেন, ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট ও ফিটনেস ঝুঁকি এড়াতেই মেসিকে খেলানো হয়নি। তবে এতে মন ভেজেনি ভক্তদের। হিউস্টন ডায়নামোর বিপক্ষে ম্যাচে মেসি না থাকায় দর্শকদের ক্ষোভ এতটাই তীব্র হয় যে, স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষ তাদের অন্য ম্যাচের টিকিট বিনামূল্যে দেওয়ার ঘোষণা দিতে বাধ্য হয়।
কানাডাভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘বেটভিক্টর কানাডা’র সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, গত এক মাসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম ‘এক্স’-এ মেসিকে নিয়ে করা পোস্টগুলোর ২৪ শতাংশ ছিল নেতিবাচক, যেখানে ইতিবাচক পোস্ট ছিল মাত্র ১২ শতাংশ। গত এক বছরে মেসির জনপ্রিয়তা এতটা নিচে নামেনি।
২০২৪ সালের জুলাইতেও মেসি সম্পর্কে ২৪ শতাংশ নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছিল, যখন কোপা আমেরিকার সময় গোড়ালির চোটে ভুগছিলেন তিনি। তবে তখন নেতিবাচক মন্তব্যের হার ছিল ১৮ শতাংশ। অর্থাৎ এবার ক্ষোভ আরও বেশি।
বেটভিক্টর কানাডার মুখপাত্র স্যাম বসওয়েল বলেছেন, ‘গত কয়েক সপ্তাহ মেসির জন্য সহজ ছিল না। এমএলএস ভক্তরা তার প্রতি সহানুভূতি দেখাচ্ছেন না, বরং তার অনুপস্থিতি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘টানা তিন ম্যাচ না খেলার পর গবেষণায় দেখা গেছে, গত এক মাসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে মেসিকে নিয়ে করা পোস্টগুলোর মধ্যে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার হার বেড়েছে। ফেব্রুয়ারিতে এই হার ছিল ১৬ শতাংশ, যা এখন ২৪ শতাংশে পৌঁছেছে।’
তবে জনপ্রিয়তা ফিরে পেতে মেসির সামনে একটাই পথ—মাঠে ফিরে সেরা পারফরম্যান্স উপহার দেওয়া। ইন্টার মায়ামির হয়ে তার ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে আগামী শুক্রবার, কনকাকাফ চ্যাম্পিয়ন্স কাপের রাউন্ড-১৬-এর দ্বিতীয় লেগে ক্যাভেলিয়েরের বিপক্ষে ম্যাচে।