যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিভিন্ন নীতির প্রভাব সম্পর্কে সতর্ক করেছেন কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলি। ইউরোপীয় ও ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সতর্ক করে তিনি বলেছেন— ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যদি তাদের নিকটতম বন্ধু আমাদের সঙ্গে এমন করতে পারে তবে কেউই নিরাপদ নয়’।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, কানাডায় অনুষ্ঠিত জি-৭ পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে জোলি মার্কিন শুল্ক এবং সার্বভৌমত্ব হুমকির বিষয়টি উত্থাপন করতে চান। এই পদক্ষেপটি মার্কিন বাণিজ্য নীতির বিপক্ষে সমর্থন আদায় ও সম্মিলিত পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেওয়ার প্রচেষ্টা হিসাবে দেখা হচ্ছে।
ট্রাম্প কানাডিয়ান ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করার জবাবে জোলি বলেছেন, ট্রাম্পের শুল্ক আরোপ অর্থনৈতিক জবরদস্তির অজুহাত। বিপরীতে কানাডাও প্রায় ২০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের মার্কিন পণ্যের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছে।
জোলি তার উদ্বেগের বিষয়ে সবসময় সোচ্চার ছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, মার্কিন জবরদস্তির মুখে কানাডা পিছু হটবে না। তিনি ইউরোপের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সামরিক মহড়া ও প্রতিরক্ষা সরঞ্জামে কানাডাকে সহযোগিতা করার প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দিয়েছেন।
এছাড়া কানাডা থেকে সব ধরনের আমদানির ওপর শুল্ক আরোপের ট্রাম্পের হুমকি এবং দেশটিকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্যে পরিণত করার বিষয়ে তার ক্রমাগত চিন্তাভাবনার কারণে দেশ দুটির মধ্যে সম্পর্ক সর্বকালের খারাপ পর্যায়ে রয়েছে।
ট্রাম্পের এমন দৃষ্টিভঙ্গির কারণে অনেক কানাডিয়ান মনে করে, তাদের দেশের সার্বভৌমত্ব হুমকির মধ্যে রয়েছে।
এ বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেন, ‘আমরা জি-সেভেনের বিষয়ে মনোযোগী হব। সেই নিয়েই এই বৈঠক। আমরা কীভাবে কানাডা দখল করতে যাচ্ছি তা নিয়ে এটি কোনো বৈঠক নয়।’