সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ৩ চৈত্র ১৪৩১
দেশ রূপান্তর

কর্মশালায় তথ্য 

৪৫ দিনের মধ্যে মৃত্যু নিবন্ধনের হার ১% ও জন্মের ৫৪%

আপডেট : ১৪ মার্চ ২০২৫, ১২:২২ এএম

দেশে জন্ম-মৃত্যুনিবন্ধন আইন ও বিধি অনুযায়ী জন্ম-মৃত্যুর ৪৫ দিনের মধ্যে নিবন্ধন করার কথা। কিন্তু অধিকাংশ মানুষই এ আইন সম্পর্কে জানেন না। এখনো দেশে মৃত্যুর ৪৫ দিনের মধ্যে নিবন্ধনের হার ১ শতাংশেরও কম এবং জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে নিবন্ধনের হার ৫৪ শতাংশ। দেশে বর্তমানে মৃত্যু নিবন্ধনের হার মাত্র ৪৯ শতাংশ।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘ডিসেমিনেটিং ইনফরমেশন অন সিভিল রেজিস্ট্রেশন অ্যান্ড ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস (সিআরভিএস)’ শীর্ষক কর্মশালায় এসব তথ্য উপস্থাপন করা হয়। বেসরকারি সংস্থা ‘নারী মৈত্রী’ এবং ‘গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটর’ যৌথভাবে এ কর্মশালার আয়োজন করে।

কর্মশালায় নারী মৈত্রীর নির্বাহী পরিচালক শাহীন আক্তার ডলি বলেন, দেশে সব মানুষের জন্মনিবন্ধন হচ্ছে না। তবে ১৬ কোটির বেশি মানুষের জন্ম ও মৃত্যুর তথ্য ডেটাবেসে সংরক্ষিত আছে। প্রতি মুহূর্তে এ সংখ্যা বাড়ছে। ইচ্ছামতো জন্মনিবন্ধন করা সম্ভব হওয়ায় এবং অনেক ক্ষেত্রে একই ব্যক্তির একাধিক তারিখে জন্মনিবন্ধন করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

কর্মশালায় জানানো হয়, মৃত্যু নিবন্ধনের প্রয়োজনীয় আইন থাকা সত্ত্বেও, প্রক্রিয়াটিতে এখনো পর্যন্ত অনেক বেশি বিড়ম্বনা ও হয়রানি করা হয়। সাংস্কৃতিক বিশ্বাসের প্রভাব, মৃত্যু সম্পর্কিত আচার, দাফন প্রথা, প্রশাসনিক দীর্ঘ আমলাতান্ত্রিক পদ্ধতি মৃত্যু নিবন্ধনের ক্ষেত্রে সমস্যার সৃষ্টি করে।

গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটরের বাংলাদেশ কান্ট্রি লিড মুহাম্মদ রুহুল কুদ্দুস বলেন, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন জরুরি। জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যেই শিশুর জন্মনিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক। তবে অনেকেই এটা অনুসরণ করে না। জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন না করা হলে পরে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। জন্ম-মৃত্যুর পরই যদি সঠিকভাবে নিবন্ধন সম্ভব হয়, তাহলে ১০ বছর পরপর জনশুমারিরও দরকার পড়ে না। নিবন্ধন দেখেই বলে দেওয়া সম্ভব দেশে কত মানুষ আছে, বছরে কতজন জন্মেছে আর কতজনের মৃত্যু হয়েছে।

কর্মশালায় বলা হয়, ২০১৮ সালে সরকার বিধি জারি করায় জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন কার্যক্রম সহজ হয়েছে। জন্ম বা মৃত্যুর ৪৫ দিনের মধ্যে এগুলোর নিবন্ধন সম্পূর্ণ বিনা খরচে করার বিধান জারি হয়েছে। উন্নত দেশে সব জন্ম ও মৃত্যু হাসপাতালকেন্দ্রিক হয়ে থাকে। তাই বাংলাদেশেও সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল এবং ক্লিনিক কর্তৃপক্ষকে জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধনের ক্ষমতা অর্পণ করা যেতে পারে। 

কর্মশালায় আরও বক্তব্য রাখেন সিআরভিএসের কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর নজরুল ইসলাম, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মঈন উদ্দিন, বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি রাশেদ রাব্বী প্রমুখ।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত