রোববার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

সরকারি তিতুমীর কলেজ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়কের ওপর হামলা

আপডেট : ১৫ মার্চ ২০২৫, ০৯:৫৪ পিএম

সরকারি তিতুমীর কলেজস্থ নাটোর জেলা ছাত্র কল্যাণ পরিষদের ইফতার মাহফিল বন্ধ করতে ছাত্র কল্যাণের সভাপতি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর সানির ওপর হামলা করেছেন কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক খাজা মাইনুদ্দিন। এতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা সানির দাঁত ভেঙে যায়।

শনিবার (১৫ মার্চ) বিকেল ৩টার দিকে কলেজের গণিত বিভাগে এই হামলার ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা হাতুড়ি, হকস্টিক দিয়ে এ হামলা চালিয়েছে বলে জানা যায়।

প্রত্যক্ষদর্শী ২২-২৩ বর্ষের ফিন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থী তানজিদ মাহমুদ জানিয়েছেন, দুপুরে আমি গণিত বিভাগের দিকে গেলে সানি ভাই আমাকে ডাক দেয়। আমি সেখানে গিয়ে বসার পর আকিব এবং খাজা আসে। ওরা এসে বলে-  তোমরা যে এখানে ইফতার মাহফিল করছ কার থেকে অনুমতি নিয়েছ? এ কথা বলে তারা ব্যানার খুলতে যায়। তখন সানি বাধা দিতে গেলে খাজা সানি ভাইকে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক খাজা মাইনুদ্দিন বলেন, আমরা নাটোর জেলা ছাত্র কল্যাণ পরিষদের একটি ইফতার মাহফিল করেছি। কিন্তু আজকে জাহাঙ্গীর সানির নেতৃত্বে নিষিদ্ব সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে। আমরা তাদের বাঁধা দিয়েছি, ব্যানার খুলতে গিয়েছিলাম। এ সময় জাহাঙ্গীর সানি আমার ওপর হামলা করে। সেখানে আমার ছোট ভাই আবিকও উপস্থিত ছিল।

এ বিষয়ে আবিক বলেন, তিতুমীর কলেজে নাটোর জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদ একটাই আছে৷ ক্যাম্পাসে গিয়ে দেখতে পাই, নাটোর জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের নামে ছাত্রলীগের পুনর্বাসন হচ্ছে৷ বাংলা বিভাগ ছাত্রলীগের সহসভাপতির সঙ্গে আমার পূর্বের বিরোধ ছিল৷ আজ তাকে ক্যাম্পাসে পেলে আমি থানায় দিতে চাই, তখন সে আমার ওপর হামলা করে৷ পরে শুনতে পারি, জাহাঙ্গীর সানি হাতুড়ি নিয়ে খাজা মঈনুদ্দিন ভাইকে হামলা করতে আসে৷ তখন জাহাঙ্গীর সানির ঘুষিতে খাজা মঈনুদ্দিন আহত হয়।

এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক খাজা মাইনুদ্দিন নিজেই ইফতার মাহফিলের ব্যানার খুলে নিয়ে যাচ্ছেন। তখনই তার সঙ্গে থাকা ছাত্রদল নেতা আবিক তার গেঞ্জির মধ্যে লুকিয়ে রাখা হকস্টিক বের করে হামলার জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, আজকের হামলা দলের ক্ষমতার বলেই হয়েছে। এতে ছাত্ররাজনীতির সৌন্দর্য নষ্ট করে দখলদারিত্বের রাজনীতি ও শান্তিপূর্ণ ক্যাম্পাসে অসান্তি কায়েমের চেষ্টা করা হচ্ছে। ছাত্রদলের পক্ষ থেকে হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে যদি কোনও পদক্ষেপ নেওয়া না হয়, তাহলে ক্যাম্পাসের রাজনীতিতে ছাত্রদল বিপদগ্রস্ত হবে।

এ বিষয়ে জানতে চেয়ে তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইমাম হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এটা তাদের জেলা ছাত্র কল্যাণের বিষয়। এই বিষয়ে ছাত্রদলের কোনও সম্পৃক্ততা নাই। সংগঠন যদি তার বিষয়ে কোনও সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ পায় তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত