মানিকগঞ্জের ঘিওরে নানা আয়োজনে বিএনপির প্রয়াত মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। আজ রবিবার দুপুরে উপজেলার বালিয়াখোড়া ইউনিয়নের পাঁচুরিয়া তার গ্রামের বাড়িতে আলোচনাসভা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল এবং সন্ধ্যায় ইফতার বিতরণ করা হয়।
রবিবার সকাল থেকেই খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা-উপজেলা, তৃণমূল ও কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতৃবৃন্দ। এরপর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কবর জিয়রত ও মরহুমের আত্মার মাগফিরাতে কামনা করে দোয়া করেন।
পরে খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন স্মৃতি ফাউন্ডেশনের আয়োজনে দোয়া, মিলাদ মাহফিল ও সন্ধ্যায় ইফতার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আফরোজা খান রিতা, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এস এ জিন্নাহ কবিরের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন নেতাকর্মীরা।
জেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি ড. খন্দকার আকবর হোসেন বাবলুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য ও কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইছাক সরকার, জেলা বিএনপির আহবায়ক সদস্য অ্যাডভোকেট আজাদ হোসেন খান, অ্যাডভোকেট নূরতাজ আলম বাহার, সত্যেন কান্ত পন্ডিত ভজন, গোলাম আবেদীন কায়সার, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ডার গোলাম মহিয়ার খান শিপার, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাড. জামিলুর রশিদ খান, মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা, পৌর বিএনপির সভাপতি নাসির উদ্দিন যাদু, জেলা কৃষক দলের আহবায়ক গোলাম কিবরিয়া সাঈদ, সদস্য সচিব আ. ছালাম বাদল, জেলা বিএনপির সাবেক ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল আলিম মনোয়ার, খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ছোট ছেলে খোন্দকার আখতার হামিদ পবন, কন্যা ডা. দেলোয়ারা হোসেন পান্নাসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
আলোচনাসভায় বক্তারা বলেন, মরহুম খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন ছিলেন একজন দৃঢ়চেতা ও আদর্শনিষ্ঠ রাজনীতিবিদ। দৃঢ়তা, অটুট মনোবল এবং ব্যক্তিত্বে তিনি ছিলেন অনন্য উচ্চতায় একজন ব্যতিক্রমী রাজনীতিবিদ। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীকার, স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও জনগণের মুক্তির সকল সংগ্রামে তিনি রেখেছেন অসামান্য অবদান। ১/১১-তে দেশের এক চরম রাজনৈতিক সংকটকালে বিএনপি মহাসচিবের দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন দলের বিরুদ্ধে চক্রান্ত রুখে দিতে যোগ্য নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।