অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের হাতে খুব বেশি সময় নেই উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আমরা ইতোমধ্যে সাত মাস পার করে এসছি। আমরা বলছি, ডিসেম্বরে নির্বাচন হবে। কাজেই কি কি সংস্কার করতে চাই করে ফেলতে হবে।
সোমবার (১৭ মার্চ) মাঠপর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ফলে আমরা মস্ত বড় সুযোগ পেয়েছি। এটাকে যেন হারিয়ে না ফেলি। আমরাও সেটা চেষ্টা করব, ভবিষ্যতে যারা আসবে তারাও আশা করি চেষ্টা করবে। পথটা যেন আমরা সৃষ্টি করে দেই।
পুলিশের প্রতি মানুষের আস্থা ফেরাতে তিনি বলেন, আগে পুলিশ খারাপ মানুষের পাল্লায় পড়েছিল। তারা নিজের ইচ্ছায় না, সরকারি কাজ করতে গিয়ে হয়েছে। কাজেই নতুন বাংলাদেশে পুলিশকে দেখিয়ে দিতে হবে আমরা মানুষ খারাপ না, খারাপ মানুষের পাল্লায় পড়েছিলাম, সেখান থেকে বের হয়ে এসেছি।
তিনি বলেন, ১৬ বছরের কালিমা সারা গায়ে মাখা আছে, রাতারাতি সেটা পাল্টাতে পারব না। পুলিশ সম্বন্ধে ইমেজ হলো, তারা খারাপটা আগে করে। কিন্তু আমরা ভালোটা আগে দেখব, এখন সম্পূর্ণ নতুন ভাবমূর্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, ষড়যন্ত্রও ততই তীব্র হচ্ছে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা পুলিশকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আমরা এখন যুদ্ধাবস্থায় আছি। ষড়যন্ত্রকারীরা এই সুযোগে শান্তি বিনষ্টের চেষ্টা করবে, তাই পুলিশকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে।
দেশের আইনশৃঙ্খলা ফেরাতে সবাইকে একসাথে কাজ করার তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, দেশ বদলাতে হলে একক নির্দেশে নয়, বরং সবাইকে নিয়ে এক একটি টিম হয়ে কাজ করতে হবে এবং বাংলাদেশে যত টিম আছে, তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ টিম হলো পুলিশ। সরকার যা কিছুই করতে চায়, শেষ পর্যন্ত পুলিশের হাত দিয়েই করতে হয়।
বক্তব্যের শুরুতেই প্রধান উপদেষ্টা বলেন, পুলিশকে অবহেলা করে দেশ গড়তে পারব না। আইনশৃঙ্খলা না থাকলে যত বড় বড় চিন্তাই হোক, যত টাকাই থাকুক, কোনো কাজে আসবে না।