দেশের সয়াবিনের ৮০ ভাগই উৎপাদন হয় লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং সময়মতো বীজ বপনের কারণে রায়পুর উপজেলায় সয়াবিনের আবাদ ভালো হয়েছে। ফলে এবার সয়াবিনের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়াবে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ। বর্তমানে রায়পুর উপজেলার চারটি ইউনিয়ন ও ৯টি চরে সয়াবিনের চাষ হয়।
জানা যায়, চলতি বছর রায়পুর উপজেলায় সয়াবিন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ৭ হাজার ৫’শ হেক্টর ধরা হলেও চাষাবাদ হয়েছে ৮ হাজার ৬০০ হেক্টরে। যা গত বছরের তুলনায় ১ হাজার ১০০ হেক্টর বেশি। আর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩০ হাজার মেট্রিক টন। তবে কৃষকদের দাবি চরাঞ্চলে এবার ১০ হাজার হেক্টর জমিতে সয়াবিন আবাদ হয়েছে। রায়পুর উপজেলার মেঘনা নদীতে জেগে উঠা চরইন্দুরীয়া, চরজালিয়া, চরঘাসিয়া, চরকাছিয়া, টুনির চর, ও কানিবগারসহ পুরো চরাঞ্চলে সর্বত্র আবাদ হয়েছে সয়াবিনের। যেদিকে চোখ যায় বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে কেবল সয়াবিন ক্ষেত। কৃষকের পরম যত্নে বেড়ে উঠেছে গাছ। সয়াবিন গাছগুলো বেড়ে ওঠায় ফাঁকা জমি চোখে পড়ে না। এখানে বছরে অন্তত ২৫০ কোটি টাকার সয়াবিন উৎপাদন হয়। সারা বছর এ অঞ্চলের মানুষ এ ফসলের উপরই নির্ভরশীল থাকে। দেশের খ্যাতনামা সয়াবিন তেল ও পোলট্রি খাদ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো এখান থেকে সয়াবিন সংগ্রহ করে।
কৃষকরা জানান, ভালো ফলন এবং লাভের আশায় ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। উৎপাদন খরচের তুলনায় লাভ বেশি হওয়ায় দিন দিন সয়াবিন চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন রায়পুর উপজেলার চাষিরা। সরকারি প্রণোদনা ও কৃষি অফিসের তদারকি বাড়ানো গেলে এ অঞ্চলে কৃষকরা সয়াবিন চাষাবাদের বিপ্লব ঘটাবে।
রায়পুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘ আবহাওয়া অনুকূল থাকায় রায়পুরে সয়াবিনের বাম্পার ফলন হয়েছে। কাঙ্ক্ষিত ফলন পেতে কৃষি অফিস ও উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের নিয়ে কাজ করছেন।’