ছাত্রদলের সভাপতি পরিচয়ে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) শিক্ষা প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী শিশির পন্ডিতকে হলের রুমে থাকা নিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে এক ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত নেতার নাম জাহিদ হাসান।
আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহীদ আব্দুস সালাম হলের প্রভোস্ট বরাবর এক অভিযোগপত্রে এই হয়রানির কথা জানায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী।
অভিযোগে জানা যায়, ভুক্তভোগীর হলে থাকার বৈধ সিট থাকলেও জাহিদ হাসান নামে ঐ ছাত্রদল নেতা নিজেকে ছাত্রদলের সভাপতি পরিচয় দিয়ে প্রভাব খাটিয়ে নিজের পছন্দের লোক উঠানোর চেষ্টা করে। এই বিষয়ে অন্য ছাত্রদল নেতাকর্মীদের দিয়ে নিজের রুমে ডেকে নিয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে জেরা করারও অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগপত্র সূত্রে জানা গেছে, শিশির পন্ডিত ভাষা শহীদ আব্দুস সালাম হলের ৪২৪ নম্বর রুমের বৈধভাবে সিটপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী। কিন্তু হলে উঠতে তার দেরি হলে ছাত্রদলের কিছু নেতাকর্মী তার সিট বাতিল হয়েছে বলে তাকে জানায়। রুমে হল প্রশাসন কর্তৃক ৫ জন শিক্ষার্থীর এলটমেন্ট থাকলেও সেখানে ৬টা সিট প্রবেশ করানো হয়। তিনি এবং তার বন্ধু একাডেমিক কাজে ঢাকার বাইরে থাকায় সিট নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়। তার অনুপস্থিতিতে এক জুনিয়র সেই রুমে থাকতে গেলে তাকেও বাধার সম্মুখীন হতে হয়।
শিশির পন্ডিত বলেন, গত ৯ মার্চ দুপুরে ফোনে জাহিদ হাসান নামে একজন নিজেকে ছাত্রদল সভাপতি পরিচয় দিয়ে আমাদের রুমের বিষয়ে আমাকে জেরা করেন। যেখানে তিনি হল প্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্ক না থাকলেও আমার এবং আমার বন্ধুর সিট নিয়ে সিদ্ধান্ত দিতে থাকেন। ৩০৫ নম্বর রুমে ডেকে নিয়ে একই বিষয় নিয়ে আমাকে ৬/৭ জন ছাত্রদল পরিচয়ে বিভিন্ন বিষয়ে জেরা করেন। বর্তমানে আমি এবং আমার বন্ধু এ বিষয়ে ভীষণ, উদ্বিগ্ন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা জাহিদ হাসান বলেন, অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। আমার কাছে তথ্য এসেছে শিশির পন্ডিত এবং তার বন্ধু চাকরিজীবী হয়েও হলে সিট নিয়েছে। হল প্রশাসন একটা নোটিশ দিয়েছে যারা নির্দিষ্ট সময়ে হলে উঠবে না তাদের সিট বাতিল বলে গণ্য হবে। সেক্ষেত্রে প্রভোস্ট মহোদয়ের মৌখিক অনুমতি নিয়ে দুইটা ছেলে ঐ রুমে থাকে।
নোবিপ্রবি ছাত্রদলের বর্তমান কমিটির আহ্বায়ক নূর হোসেন বাবু বলেন, জাহিদ হাসান নামে আমাদের কমিটিতে কোনও নেতা নেই। কেউ যদি ছাত্রদল সভাপতি পরিচয় দিয়ে কোনও অন্যায় কাজ করে তাহলে তাকে আইনের আওতায় আনার অনুরোধ জানাচ্ছি।
নোবিপ্রবি ভাষা শহীদ আব্দুস সালাম হলের প্রভোস্ট বডি অভিযোগ পেয়েছেন বলে নিশ্চিত করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সহকারী প্রভোস্ট বলেন, ছাত্রদলের সভাপতি পরিচয়ে শিক্ষার্থীকে হয়রানির অভিযোগটি আমরা পেয়েছি। এ বিষয়ে আমরা হল প্রশাসন তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।