রাজশাহী বিভাগে চাল না দেওয়া ও চুক্তি যোগ্য হয়েও চাল সংগ্রহে চুক্তি না করায় ৯১৩টি চালকলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করেছে খাদ্য বিভাগ। রাজশাহী অঞ্চলিক খাদ্য বিভাগ থেকে চাল সংগ্রহ মৌসুম শেষ হওয়ার পর খাদ্য মন্ত্রণালয়ে এই সুপারিশ পাঠানো হয়েছে। রাজশাহী খাদ্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী উপপরিচালক ওমর ফারুক এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রাজশাহী খাদ্য অফিসের তথ্যমতে, রাজশাহী বিভাগে আমন সংগ্রহ ২০২৪-২৫ মৌসুমে সেদ্ধ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ১১ হাজার ২৬৩ টন। তবে সংগ্রহ হয়েছে ৯৪ হাজার ৭০৭ টন। আর আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২১ হাজার ৮৯১ টন। তবে সংগ্রহ হয়েছে ১৯ হাজার ৫২৯ টন। মৌসুম শেষ হওয়ার পর পর্যালোচনা শেষে খাদ্য বিভাগে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে জেলা পর্যায় থেকে।
খাদ্য বিভাগের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী বিভাগে চাল না দেওয়া ও চুক্তিযোগ্য হয়েও চাল সংগ্রহে চুক্তি না করায় ৯১৩টি চালকলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করা হয়েছে। এদের মধ্যে চুক্তি যোগ্য ছিল, কিন্তু চুক্তি করেনিশ্বে এমন চালকলের সংখ্যা ৭৫১টি। এর মধ্যে অটো রাইস মিল ৪৫টি ও হাস্কিং মিল ৭০৬টি। এ ছাড়া চুক্তি করেও চাল সরবরাহ করেনি এমন চালকলের সংখ্যা ১৬২টি। এদের মধ্যে চুক্তির ৮০ ভাগ চাল দিয়েছে এমন চালকলের সংখ্যা ৩০টি। ৫০ ভাগ চাল দিয়েছে এমন চালকলের সংখ্যা ৭১টি। চুক্তিবদ্ধ হয়েও কোনো চাল দেয়নি এমন চালকলের সংখ্যা ৬১টি।
রাজশাহী খাদ্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী উপপরিচালক ওমর ফারুক বলেন, ‘রাজশাহী বিভাগের যেসব মিল চাল দেয়নি বা চুক্তিযোগ্য ছিল, কিন্তু চুক্তি করেনিশ্বে এমন মিল সংখ্যার একটি তালিকা আমরা করেছি। রাজশাহী বিভাগের ৯১৩টি মিলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ আমরা মন্ত্রণালয়ে করেছি। তাদের বিরুদ্ধে এখন মন্ত্রণালয় কী ব্যবস্থা নেবেন সেটি তারা ঠিক করবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘যারা চুক্তির অর্ধেক চাল সরবরাহ করেছে তাদের জামানতকৃত অর্থের মধ্যে জরিমানা করার সুপারিশ করা হয়েছে। পাশাপাশি যারা কোনো ধরনের চালই দেয়নি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছি। এখন তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবেশ্বে সেটি মন্ত্রণালয়ের বিষয়। তবে যেই ব্যবস্থা নেবেন আমরা সেটি বাস্তবায়ন করব।’