রোববার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

সন্ত্রাসী হামলায় আহত স্বর্ণ ব্যবসায়ীর মৃত্যু

আপডেট : ২৩ মার্চ ২০২৫, ০১:২৬ পিএম

সাভার পৌরসভার জামশিং জয়পাড়া মহল্লায় সন্ত্রাসী হামলায় আহত স্বর্ণ ব্যবসায়ী আব্দুস সালাম চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আজ রবিবার ভোররাত ৩টার দিকে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তিনি মারা যান।

এর আগে, গত ১৫ মার্চ সন্ত্রাসীদের হামলায় গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি।

এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী আলেয়া বেগম বাদী হয়ে সাভার মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করলেও এক সপ্তাহ পার হলেও পুলিশ কোনো হামলাকারীকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

নিহত আব্দুস সালাম সাভার পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের জামশিং মহল্লার বাসিন্দা ও স্থানীয় স্বর্ণ ব্যবসায়ী ছিলেন। তার মালিকানাধীন আলামিন জুয়েলার্স নামে একটি স্বর্ণের দোকান রয়েছে।

অভিযুক্ত হামলাকারীরা হলেন—জামশিং এলাকার কথিত মুক্তিযোদ্ধা মজিবর রহমানের ছেলে মেহেদী (৪০), লাল মিয়ার ছেলে রুবেল (৩৮), আব্দুল মজিদের ছেলে আব্দুল মান্নান (৩৯), শতকতের ছেলে রমেজ (৪০), মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে আব্বাস (৪৫) এবং মো. মনির হোসেনের ছেলে কবির হোসেন (৪০)। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ৪-৫ জন হামলায় জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে।

লিখিত অভিযোগে জানা যায়, গত ১৫ মার্চ বিকেলে স্বর্ণ ব্যবসায়ী আব্দুস সালাম দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথে পূর্ব জামশিং জয়পাড়া মহল্লার বাবুর দোকানে চা খাচ্ছিলেন। ঠিক সেই মুহূর্তে সন্ত্রাসী মেহেদী, রুবেল, রমিজ, কবির, মান্নানসহ আরও ৪-৫ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্র, সুইচ গিয়ার চাকু ও লোহার রড নিয়ে তার ওপর হামলা চালায়।

হামলাকারীরা তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পাশাপাশি তার কাছ থেকে নগদ দুই লাখ টাকা ও দুটি স্বর্ণের আংটি ছিনিয়ে নেয়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় গুরুতর আহত আব্দুস সালামকে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

সেখানে আইসিইউতে টানা ৮ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে অবশেষে আজ রবিবার ভোররাত ৩টার দিকে তিনি মারা যান।   

নিহতের স্ত্রী আলেয়া বেগম বলেন, ‘আমার স্বামীকে মারধরের খবর পেয়ে তাকে বাঁচানোর জন্য এগিয়ে সন্ত্রাসীরা আমাকেও কিলঘুষি ও চরথাপ্পড় মেরে আহত করে। এছাড়া তারা আমার গলায় থাকায় একটি স্বর্ণের চেন ও কানের দুল ছিনিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। সন্ত্রাসীরা চলে যাওয়ার সময় বিষয়টি কাউকে জানালে অথবা আইনের আশ্রয় নিয়ে প্রানে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে যায়। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করলেও পুলিশ কোন সহযোগীতা করছেনা। আমি আমার স্বামীর হত্যার বিচার চাই।’

এদিকে সালাম মারা যাওয়ার খবরে অভিযুক্ত আসামিদের বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়েছে এলাকাবাসীরা। 

সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুয়েল মিঞা বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে। খুব দ্রুত তাদেরকেআইনের আওতায় আনা হবে।’

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত