লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে হাত-পা বেঁধে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় রামগতি থানায় ৫ জনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করা হয়েছে।
সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে এই মামলা করেন। এর আগে সোমবার সেহরীর সময়ে রামগতি উপজেলার চরগাজীর দক্ষিণ টুমচর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ভুক্তভোগী ওই নারী সোমবার সেহরির সময়ে প্রাকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বসতঘরের পাশে বাথরুমে যান। এসময় কিছু বুঝে ওঠার আগে দুই ব্যক্তি তাকে ঝাপটে ধরে নির্জন স্থানে নিয়ে যান। পরে তাকে হাত-পা ও মুখ বেঁধে পালাক্রমে ধর্ষণ করে তারা।
একপর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে পালিয়ে যায় ধর্ষকরা। জ্ঞান ফেরার পর চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে ভুক্তভোগীকে বিবস্ত্র অবস্থায় উদ্ধার করেন।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ, তার ননদের স্বামী জামাল উদ্দিনসহ অপরিচিত চার-পাঁচজন মিলে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করে।
ভুক্তভোগী নারী জানান, বিয়ের কিছুদিন পর ননদের বাড়িতে বেড়াতে যান তিনি। সেখানে ননদের স্বামী জামাল উদ্দিন তাকে বাজে প্রস্তাব দেয়। এ নিয়ে পারিবারিকভাবে বিরোধ চলে আসার কয়েক মাস পর জামাল উদ্দিন তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে বিচার দাবি করলে বিভিন্ন ভয়ভীতি ও নিজে আওয়ামী লীগের নেতা এবং রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে পার পেয়ে যান জামাল।
আগের ক্ষোভ থেকে বন্ধুদের সঙ্গে জামাল সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ তার।
রামগতি থানার ওসি মো. কবির হোসেন জানান, বিষয়টি সংঘবদ্ধ ধর্ষণ নয়। ভুক্তভোগীকে তার ননদের স্বামী জামাল উদ্দিন জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে। এ ঘটনায় আশরাফ ও নুর ইসলাম নামে দুইজন ধর্ষণে সহযোগিতা করেছে। ভুক্তভোগী নারী জামালকে প্রধান করে অজ্ঞাত আরও চারজনকে অভিযুক্ত করে মামলা করেন। আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।