একজন বলিউডের কিং, অন্যজন ভাইজান। তাদের বন্ধুত্ব চির অটুট। শাহরুখের পুত্র আরিয়ান খান মাদক-কাণ্ডে জড়িয়ে পড়ার পর সেই বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় হয়েছে। তবে এমনও সময় আসে, যখন দুই তারকার বন্ধুত্বের সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকেছিল। ক্যাটরিনা কাইফের জন্মদিনের পার্টিতে তাদের লড়াই সংবাদপত্রের শিরোনাম তৈরি করেছিল। কী ঘটেছিল সেই পার্টিতে?
২০০৮ সালের ঘটনা। ঐশ্বরিয়া রাইকে কেন্দ্র করে শাহরুখ ও সালমানের মধ্যে বিবাদ বাধে। জানা যায়, মদের নেশায় বুঁদ ছিলেন সালমান। ‘বন্ধু’ শাহরুখের উদ্দেশ্যে কটূ কথা বলতে শুরু করেন পার্টিতে। শাহরুখ সেই সময় ‘কেয়া আপ পাঁচভি পাস সে তেজ হ্যায়?’ শোয়ের হোস্ট। সেই শো নিয়েই পার্টিতে কটাক্ষ করেন সালমান। তার আসন্ন ছবিতে ক্যামিও চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব ফিরিয়েছেন, সেই কথাও পার্টিতে বলেছিলেন সালমান, যেখানে তিনি শাহরুখের ‘ওম শান্তি ওম’ ছবিতে ক্যামিও চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। এত কিছু শুনে চুপ থাকার মানুষ নন শাহরুখ। সালমানের শো ‘দাস কা দাম’-এ এসে জবাব দিয়েছিলেন। পার্টিতে শাহরুখের মুখে ঘুসি মারতে চেয়েছিলেন সালমান। তাকে হুমকিও দিয়েছিলেন বলে শোনা যায়। শেষে বিরক্তি প্রকাশ করে পার্টি ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার কথা বলেন শাহরুখ পত্নী গৌরী খান।
পার্টিতে শাহরুখকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন সালমান নিজেই। শাহরুখের ইচ্ছা ছিল না যাওয়ার। তবে গৌরীর অনুরোধে গিয়েছিলেন।
ক্যাটরিনার জন্মদিনের পার্টিতে অনেক মদপান করেছিলেন সালমান। নিজের ‘দাস কা দাম’ শো-এর সঙ্গে ক্রমাগত তুলনা টানছিলেন ‘কেয়া আপ পাঁচভি পাস সে তেজ হ্যায়?’-এর। নেশার ঘোরে বলে বসেন তিনিই আসল ‘খান’, শাহরুখ নন। অতিথিদের বক্তব্য অনুযায়ী, ঐশ্বরিয়া ও শাহরুখের একসঙ্গে কাজ করা নিয়ে বিরক্ত ছিলেন সালমান। ক্যাটরিনার সঙ্গেও তার কাজ করা নিয়ে বিরক্ত ছিলেন।
ঐশ্বরিয়া রাই ও ক্যাটরিনার সঙ্গে কাজ করছেন শাহরুখ, বিষয়টি ভালো লাগেননি সালমানের। কিং খানের সঙ্গে ঐশ্বরিয়ার কাজ করার আগ্রহ তাকে বিরক্ত করে তোলে। সালমানের কটূক্তি শুনে বিরক্ত শাহরুখ পার্টি ছেড়ে বেরিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। আমির খান এসে তাকে আটকান এবং পার্টি থেকে বেরিয়ে যেতে মানা করেন। শাহরুখ সেদিন একটি কথাও বলেননি। পার্টির মধ্যে ঐশ্বরিয়াকে অকথ্য ভাষায় আক্রমণও করেছিলেন সালমান।
এ সব শুনে গৌরীর হাত ধরে সালমানের পার্টি থেকে বেরিয়ে যেতে চেয়েছিলেন শাহরুখ। সেই সময় সালমান তাকে বলেছিলেন, ‘তুমি ভয় পাচ্ছো নাকি?’ এই কথা শুনে সালমানকে শাহরুখ বলেছিলেন, তিনি তাকে তার পার্টিতেই মারবেন।
এই ঘটনা চাপা থাকেনি। অনেক সংবাদপত্রের শিরোনাম হয় এই ঘটনা। বহু মানুষ তা বিশ্বাস করেন, কেউ বলেন, পুরোটাই পাবলিসিটি স্টান্ট। কেউ-কেউ এটাও বলেন, সালমানের বাড়িতে পার্টি ছিল না, তা ছিল একটি ক্লাবে।