গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টায় সহযোগিতার অভিযোগ উঠেছে জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান মিলনের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত জাপা নেতা ধর্মপুর আব্দুল জব্বার ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সকালে সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হাকিম আজাদ মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১৪ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১০টার দিক উপজেলার একটি বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী (১৪) নিজ বাড়ি থেকে দাদার বাড়ি যাচ্ছিল। পথে ধর্মপুর আব্দুল জব্বার ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও উপজেলা জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার মিজানুর রহমান মিলনের বাড়ির কাজের লোক একই গ্রামের মৃত ওসমান সরদারের ছেলে শফিউল ইসলাম (৩৮) ওই শিক্ষার্থীর গতিরোধ করেন। পরে তাকে জোরপূর্বক মুখ চেপে ধরে অধ্যক্ষের বাড়ির পাকাঘরে নিয়ে যায়। সেখানে শফিউল ইসলাম ওই শিক্ষার্থীর পরনের কাপড় খুলে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এ সময় ছাত্রীটি কৌশলে তার মুখ থেকে হাত সরিয়ে চিৎকার দিলে আশপাশের বাড়ি থেকে লোকজন দৌড়ে এসে তাকে উদ্ধার করে। পরে স্থানীয়রা ওই ভুক্তভোগীকে তার দাদী ও মায়ের হাতে তুলে দেন। ঘটনার পরে অভিযুক্ত শফিউল ইসলাম পালিয়ে যান।
এদিকে ঘটনার পর থেকে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন জাপা নেতা ও ধর্মপুর ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সরদার মিজানুর রহমান মিলন। কিন্তু ভুক্তভোগী পরিবারটি বিচার দিয়ে কোনো সহযোগিতা না পাওয়ায় পরদিন ১৫ এপ্রিল ওই শিক্ষার্থী বাদী হয়ে সুন্দরগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় সরদার মিজানুর রহমান মিলনকে ধর্ষণচেষ্টায় সহযোগিতা করার অভিযোগ তোলা হয়।
অভিযোগে বলা হয়, জাতীয় পার্টির উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান তার তালাবদ্ধ ঘর খুলে দিয়ে অভিযুক্ত শফিউল ইসলামকে ধর্ষণচেষ্টায় সহায়তা করেন। এ ঘটনার পর থেকে শফিউল ইসলাম লাপাত্তা রয়েছেন।
সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হাকিম আজাদ বলেন, 'মামলা দায়েরের পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা মিলেছে। ইতোমধ্যে আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু হয়েছে এবং তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে।'