কক্সবাজারে রাজমিস্ত্রি কাজ করতে গিয়ে নিখোঁজ সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার সেই ৬ জন রাজমিস্ত্রি এখন ইন্দোনেশিয়ার সাগরে অবস্থান করছেন বলে ফোনে জানিয়েছে নিখোঁজদের একজন। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে নিখোঁজ রশিদ আহমদ ০০৬২৮২১৭২৪৩৩২৫০ নম্বর থেকে কল করে নিখোঁজ এমাদ উদ্দিনের ভাই বাহার উদ্দিনকে এই কথা জানিয়েছেন।
বাহার উদ্দিন বলেছেন, রশিদ আহমদ তাকে বলেছেন টেকনাফ থেকে তাদের ট্রলারে ইন্দোনেশিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাহার উদ্দিন নিখোঁজদের ৪ জন স্বজন কক্সবাজারের টেকনাফ থানায় এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
এ সময় বাহাউদ্দিন গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে ওই নম্বর থেকে তার মুঠোফোনে কল করে ইন্দোনেশিয়ায় থাকার বিষয়টি জানানো হয়। তবে রশিদের বাইরে কিছু বলেননি। বিষয়টি কতটুকু সত্য পরিষ্কার না।
গত ১৫ এপ্রিল বিকেলে জকিগঞ্জ উপজেলার খলাছড়া ইউনিয়নের পশ্চিম লোহারমহল গ্রামের ৬জন কাজের খোঁজে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। ১৬ এপ্রিল কক্সবাজার পৌঁছার পর পরিবারের লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। কিন্তু এরপর থেকে তাদের মোবাইল বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
নিখোঁজ ব্যক্তিরা হলেন- মো. লুকুছ আলীর ছেলে রশিদ আহমদ (২০), ফারুক আহমদের ছেলে মারুফ আহমদ (১৮), আজির উদ্দিনের ছেলে শাহিন আহমদ (২১), আব্দুল মান্নানের ছেলে এমাদ উদ্দিন (২২), সুফর উদ্দিনের ছেলে খালেদ হাসান (১৯) ও মৃত ছবর আলীর ছেলে আব্দুল জলিল (৫৫)। তারা সকলেই সিলেট জেলার জকিগঞ্জ উপজেলার ঈদগাঁও বাজার এলাকার বাসিন্দা।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাহাউদ্দিন অপহৃত অপর তিনজনের স্বজনদের সাথে নিযে টেকনাফ থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে একটি অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন। সেখানে কর্তব্যরত পুলিশের উপ-পরিদর্শক নাজমুল হাসান অভিযোগের পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশের একটি টিম এ নিয়ে কাজ শুরু করছে।
বাহার উদ্দিন তার লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, নিখোঁজদের পেশায় রাজমিস্ত্রি। সেই সুবাদে রাজমিস্ত্রি কাজের উদ্দেশ্যে কক্সবাজার এলাকায় যায়। রশিদ আহমদ (২১) ০০৬২৮২১৭২৪৩৩২৫০ নাম্বার থেকে তাকে ফোন করেছে।
এ ব্যাপারে জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল ইসলাম মুন্না বলেন, জকিগঞ্জ থেকে কাজের উদ্দেশ্য কক্সবাজার গিয়ে ৬জন রাজমিস্ত্রি শ্রমিক নিখোঁজ হওয়ার খবর পেয়েছি। নিখোঁজদের পরিবার থেকে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। আমরা তাদের সহায়তা করে যাচ্ছি। নিখোঁজদের মধ্যে দুজনের মোবাইল ফোন ট্র্যাকিং করে তাদের সর্বশেষ অবস্থান কক্সবাজারের টেকনাফে দেখাচ্ছে। কক্সবাজারের সংশ্লিষ্ট থানায় জিডি করার জন্য নিখোঁজ হওয়া লোকজনের অভিভাবকদেরকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আমরাও বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখছি।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে টেকনাফ মডেল ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ কাজ শুরু করেছে।