সাভারে বহুল আলোচিত রানা প্লাজা ধসের ১ যুগ উপলক্ষে ‘১৩ থেকে ২৪: স্বরণে ও সংস্কারে শ্রমিকের বন্দোবস্ত’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন।
আওয়ামী লীগ সরকারের রাজনৈতিক দুর্বত্তায়নের ফাঁদে পড়ে রানা প্লাজায় শ্রমিকদের জীবন দিতে হয়েছিল উল্লেখ করে সভায় আখতার হোসেন বলেন, রানা প্লাজা ভবন ধসের আগের দিন ফাটল দেখা গেলেও সেটিকে গুরুত্ব না দিয়ে রাজনৈতিক ক্ষমতার জোরে ভবন মালিক সোহেল রানা পরের দিন গার্মেন্টস খোলা রাখে। যদি রানা প্লাজার মালিক রানার কাছে আওয়ামী ক্ষমতা কুক্ষিগত না থাকতো তাহলে সেই দিন শ্রমিকদের জীবন দিতে হতো না।
তিনি বলেন, বিদেশি সংস্থাগুলো যখন ভবন ধসের পর উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করতে চাইলো তখন শেখ হাসিনা সরকার বাধা প্রদান করে। কারণ আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশে যে দুর্বৃত্তায়ন করেছিলো রানা প্লাজার ঘটনার মধ্য দিয়ে সে দুর্বৃত্তায়ন যাতে আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় প্রকাশ না পায় সেজন্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করতে দেওয়া হয়নি।
এসম রানা প্লাজা ধসের দিনকে ‘জাতীয় শ্রমিক দিবস’ হিসেব ঘোষণা করে প্রতিবছর হতাহতের খবর এই দিনে শ্রমিক প্রকাশের দাবি জানান এনসিপির সদস্য সচিব।
এছাড়া রানা প্লাজার ঘটনায় যেসব অনুদান এসেছে সেই অনুদান যারা কুক্ষিগত করেছে তাদেরকে আইনের আওতায় এসে শাস্তি নিশ্চিত করা, শ্রমিকদের অনুদানের টাকা তাদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়াসহ রানা প্লাজার ঘটনায় যেসব মামলা হয়েছে সেইসব মামলার আসামিদের অবিলম্বে বিচারের আওতায় আনার জন্য অন্তবর্তী সরকারের কাছে দাবি জানান এনসিপির এ নেতা।
জাতীয় নাগরিক পার্টি সবসময় শ্রমিকদের পক্ষে কথা বলবে এবং অধিকার আদায়ের সংগ্রামে পাশে থাকবে জানিয়ে রাজনৈতিক ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে বাংলাদেশে শ্রমিকদের অধিকার যাতে আর কেউ ক্ষুণ্ণ করতে না পারে, সোহেল রানাদের মতো গং যাতে তৈরি হতে না পারে সেই অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন তিনি।
এর আগে সকাল থেকে রাষ্ট্র সংস্কার শ্রমিক আন্দোলন, গার্মেন্টস টেক্সটাইল শ্রমিক ফেডারেশন, বাংলাদেশ টেক্সটাইল গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন ও গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রসহ বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন রানা প্লাজার সামনে নির্মিত অস্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।