আইপিএলে ৩৫ বলে সেঞ্চুরি করে হইচই ফেলে দিয়েছেন বৈভব সূর্যবংশী। গতকাল সোমবার গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে রাজস্থান রয়্যালসের ম্যাচটি ছিল ১৪ বছর ৩২ দিন বয়সী বৈভবের আইপিএল ক্যারিয়ারের তৃতীয় ম্যাচ। বৈভব সেঞ্চুরি করতেই হুইলচেয়ার থেকে লাফিয়ে ওঠেন চোটাক্রান্ত রাজস্থান কোচ রাহুল দ্রাবিড়। আনন্দে ভেসেছেন আরও একজন- ভিভিএস লক্ষণ। বৈভবের উঠে আসার পেছনে এই দুই কিংবদন্তির বড় অবদান।
অনূর্ধ্ব-১৯ দলে খেলার সময় বৈভব কোচ হিসেবে পেয়েছিলেন লক্ষ্মণকে। একটি ম্যাচে ৩৬ রান করে আউট হয়ে বৈভব নাকি ড্রেসিংরুমে গিয়ে কেঁদে ফেলেছিলেন। বৈভবের কোচ মনোজ ওঝা বলেন, ‘একটা ম্যাচে বৈভব ৩৬ রানে আউট হয়ে গিয়েছিল। ড্রেসিংরুমে গিয়ে সে কাঁদতে শুরু করে। লক্ষ্মণ সেটা দেখতে পেরে বৈভবকে বলেছিলেন, “আমরা এখানে শুধু রান দেখি না; আমরা দেখি কোন কোন ক্রিকেটার বড় রান করতে পারে।” আসলে লক্ষণ হয়তো বৈভবের মাঝে বিশেষ কিছু দেখেছিলেন। তাই বিসিসিআইও বৈভবের পাশে ছিল।’
এবারের আইপিএলের নিলাম থেকে বৈভবকে ১ কোটি ১০ লাখ রুপিতে দলে নিয়েছে রাজস্থান। এরপর থেকেই বৈভবের দায়িত্ব গ্রহণ করেন রাজস্থানের কোচ রাহুল দ্রাবিড়। বৈভবকে শুরুর দিকে খেলায়নি রাজস্থান। সেই সময় তাকে না খেলানোর কারণ বিষয়ে দ্রাবিড় বলেছিলেন, ‘বৈভব দুর্দান্ত প্রতিভা। আমরা তাকে তৈরি করছি। দলের সবার সঙ্গে অনুশীলন করে অভ্যস্ত হোক। পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিক। এগুলো বৈভবের জন্য একটা অভিজ্ঞতা। হঠাৎ দর্শকদের সামনে ঠেলে দেওয়ার আগে তাকে তৈরি করা প্রয়োজন। সুযোগ পেলে সে যাতে ভয় না পেয়ে যায়।’
‘দ্য ওয়াল’ খ্যাত দ্রাবিড়ের সিদ্ধান্ত যে সঠিক ছিল, বৈভব ব্যাট হাতে তার প্রমাণ দিয়ে যাচ্ছেন। ভারতীয় গণমাধ্যমের মতে, নিজের হাতে তৈরি করবেন বলেই নাকি রাজস্থান কর্তৃপক্ষকে দিয়ে মোটা অংকের টাকায় বৈভবকে দলে নিয়েছিলেন দ্রাবিড়। নিজের প্রতি কতটা আত্মবিশ্বাস থাকলে এমন ‘ঝুঁকি’ নেওয়া যায়! দ্রাবিড় পেরেছেন। নিজের নেওয়া চ্যালেঞ্জ জিতেছেন। বৈভব তার গুরুকে হতাশ করেননি; তাই শিষ্যের সেঞ্চুরিতে গুরুর এত আনন্দ।