বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে ছোট পর্দার অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমানকে। তার বিরুদ্ধে গুলশান থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা ছিল। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রাতে সেই মামলায় গ্রেপ্তার দেখায় গুলশান থানা-পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের গুলশান জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার আলী আহমেদ মাসুদ। তিনি বলেন, ‘তাকে(সিদ্দিক) গুলশান থানার একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।’
এর আগে মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকায় দুদক কার্যালয়ের সামনে ছাত্রদল,যুবদল,স্থানীয় বিএনপি নেতাসহ সাধারণ মানুষ সিদ্দিককে স্বৈরাচারের দোসর আখ্যা দিয়ে মারধর করে। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে হেফাজতে নেয় নিকটস্থ রমনা থানা পুলিশ।
এই বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার মাসুদ আলম বলেন, ‘তাকে লোকজনের হাত থেকে উদ্ধার করে আমরা থানা হেফাজতে নেই। তার বিরুদ্ধে গুলশান থানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থী-জনতা হত্যা চেষ্টার দুটো মামলা আছে। আমরা তাকে গুলশান থানায় সোপর্দ করেছি।’
মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আমানুল্লাহ আমান বলেন, ‘মব সৃষ্টি ছাড়াই তাকে থানায় দেওয়া হয়েছে। সিদ্দিক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে প্রকাশ্যে অশ্রাব্য ও অবমাননাকর মন্তব্য করেছে, তার প্রতিক্রিয়ায়ও আমরা আইন নিজের হাতে তুলে নেইনি। আমরা কোনো গণপিটুনি বা মব জাস্টিস সৃষ্টি করিনি। বরং তাকে আইন অনুযায়ী আটক করে যথাযথভাবে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছি।’
২০২৩ সালে ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ও চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান ফারুকের মৃত্যুতে শূন্য হয়ে পড়া আসনে উপ-নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেন ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমান। ২০২৩ সালের ৫ জুন এ অভিনেতা আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে দলীয় ফরম সংগ্রহ করেন। পরদিনই মনোনয়নপত্র জমা দেন। এছাড়া টাঙ্গাইল-১ ও বরিশাল-৩ আসন থেকেও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন কিনেছিলেন সিদ্দিকুর রহমান।