প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, আমরা রাজনৈতিকভাবে অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে বাস করছি। ফ্যাসিবাদের পতন ঘটেছে, কিন্তু গণতন্ত্রের উত্তরণ হয়নি। আমাদের যে আকাঙ্ক্ষা— জনগণের ভোটের মাধ্যমে আমাদের সরকার গঠন করব, তা এখনো পারিনি।
বৃহস্পতিবার বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মে দিবস উপলক্ষে আয়োজিত শ্রমিক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, জনগণের সামনে সংস্কারের দাবি প্রথমে বিএনপিই নিয়ে এসেছে। সংস্কার আমাদের দাবি, আমাদের সন্তান। সুতরাং কঠিন সময়েও সংস্কারের কথা চিন্তা করে আমাদের নেতা তারেক রহমান ৩১ দফা দিয়েছিলেন। আজকের সমাবেশ থেকে সরকারের প্রতি দাবি করছি, অবিলম্বে যে সব সংস্কারে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হয়েছে তা সামনে নিয়ে আসুন এবং দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। যেগুলোর বিষয়ে ঐকমত্য হয়নি তা আগামী সংসদে আলোচনা করে বাস্তবায়ন করা যাবে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, দয়া করে রাজনৈতিক দল ও জনগণকে অবহেলা করে এমন কোনো চুক্তি করবেন না, যেটি বাংলাদেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে যায়।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বারবার সরকার এসেছে, কিন্তু শ্রমিক শ্রেণির জন্য যে কাজ দরকার ছিল তা হয়নি। শ্রমিকের অধিকারের গুরুত্ব প্রথম জিয়াউর রহমান উপলব্ধি করেছিলেন। এ কারণে তিনি গার্মেন্টস কারখানা চালু করে নতুন সুযোগ তৈরি করেছিলেন। বিদেশে শ্রমিক রফতানির ব্যবস্থা করেছিলেন। রেমিট্যান্সের ব্যবস্থা করেছিলেন। যা কিছু, যতটুকু কল্যাণকর কাজ হয়েছে শ্রমিকদের জন্য সবই হয়েছে বিএনপির রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকাকালীন।’
সমাজে সবচেয়ে বঞ্চিত শ্রেণি হচ্ছে শ্রমিকরা এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, শ্রমিকরা গোটা সভ্যতাকে বাঁচিয়ে রাখে অথচ ন্যায্য মজুরি পায় না। শিশুদের হাতুড়ি পেটাতে হচ্ছে জীবিকার জন্য। যেখানে তার লেখাপড়া করার কথা, খেলাধুলা করার কথা, সেখানে তাকে পরিবারের হাল ধরতে হচ্ছে। শ্রমিকের কাজ করতে হচ্ছে। অথচ, যুগের পরিবর্তন হয়েছে, আধুনিক সব যন্ত্রের আবিষ্কার হয়েছে, উৎপাদনের প্রক্রিয়ার পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু শ্রমিক শ্রেণির পরিবর্তন হয়নি।’
