রোববার, ১৮ মে ২০২৫, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

বজ্রপাতের গতিপথ বদলে দিতে পারে জাপানের নতুন ড্রোন

আপডেট : ০৪ মে ২০২৫, ০৪:০৫ পিএম

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশে বেড়েছে বজ্রপাত। এতে বিপুল প্রাণহাণি ঘটছে। কিছুদিন আগে দেশের বিভিন্ন স্থানে বজ্রপাতে অনেক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এই ভয়াবহ প্রাকৃতিক শক্তি নিয়ন্ত্রণে নতুন প্রযুক্তির ড্রোন আনার ঘোষণা দিয়েছে জাপানি একটি প্রযুক্তি কোম্পানি। এই ড্রোন বজ্রপাতকে নিজের দিকে আকর্ষণ করে এর গতিপথ বদলে দিতে পারে।

বিজ্ঞানবিষয়ক সংবাদমাধ্যম সায়েন্স অ্যালার্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাপানের টোকিওভিত্তিক প্রযুক্তি কোম্পানি নিপ্পন টেলিগ্রাফ অ্যান্ড টেলিফোন (এনটিটি) দাবি করেছে, তারা বিশ্বের প্রথম এমন ড্রোন তৈরি করেছে, যা বজ্রপাত আকর্ষণ করে সেটিকে নির্দিষ্ট পথে চালিত করতে পারে।

এ অভিনব পদ্ধতিতে বজ্রপাত প্রতিরোধক খাঁচা সংযুক্ত ড্রোন ব্যবহার করে বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রের পরিবর্তন বিশ্লেষণের মাধ্যমে বজ্রপাতের পূর্বাভাস দেওয়া যায় এবং গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোকে বজ্রপাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব হয়। প্রতি মিনিটে বিশ্বজুড়ে কমপক্ষে ৬ হাজারে বজ্রপাত মাটিতে আঘাত করে, তাই এ প্রযুক্তি শহর ও অবকাঠামোর ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনতে বিপুল সম্ভাবনার দ্বার উম্মোচন করে।

এনটিটির তথ্য মতে, এ প্রযুক্তিতে বজ্রপাত প্রতিরোধক মনুষ্যহীন ড্রোন বা ইউএভি বজ্রমেঘের কাছাকাছি উচ্চতায় উড়ে এবং বজ্রপাত আকর্ষণ করে। এটি কন্ডাক্টরের (পরিবাহক) মাধ্যমে বজ্রপাতকে নিরাপদে মাটিতে নামিয়ে দেয়। ফলে মানুষ ও যন্ত্রপাতি ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পায়। পাশাপাশি বজ্রপাত থেকে উৎপন্ন শক্তিকে সঞ্চয় করে রাখা যায় সংকুচিত বায়ু ও অন্যান্য চার্জিং পদ্ধতির মাধ্যমে।

প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য হলো বিশ্বব্যাপী বজ্রপাতের কারণে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতি উল্লেখযোগ্যহারে কমিয়ে আনা এবং শেষপর্যন্ত মেঘে জমে থাকা বৈদ্যুতিক শক্তিকে শোষণ করে বজ্রপাতকে মাটিতে পৌঁছানো রোধ করা। এ প্রযুক্তি এখন উন্নয়নের পর্যায়ে রয়েছে, যেখানে ড্রোনের বজ্র সহনশীলতা ও তীব্র বৈদ্যুতিক চৌম্বকীয় ক্ষেত্রের মধ্যেও স্থিতিশীলভাবে উড়তে পারার ক্ষমতা বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দেয়া হচ্ছে। সে সঙ্গে বজ্রপাত থেকে সঞ্চিত শক্তিকে গতিশক্তি ও চৌম্বকীয় শক্তিতে রূপান্তর করে একটি বজ্র চার্জিং প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনাও রয়েছে।

এ প্রযুক্তির কল্যাণে অবকাঠামোগত প্রতিষ্ঠান যেমন টেলিযোগাযোগ ও বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থাগুলো, সরকারী সংস্থা এবং স্থানীয় সরকার কর্তৃপক্ষ বিশেষভাবে উপকৃত হতে পারে, যাদের স্থাপনাগুলোকে বজ্রপাতের ঝুঁকিতে থাকে বেশি।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত