বান্দরবানের থানচির তিন্দু ইউনিয়নে চিংম্রা খেয়াং নামে এক নারীর মৃত্যুতে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ মে) সকালে থানচি থানায় তার স্বামী সুমন খেয়াং বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেছেন।
বিষয়টি জানিয়েছেন থানচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাসির উদ্দিন। এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি বলে জানান তিনি।
এদিকে মঙ্গলবার সকালে খেয়াং নারীর মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি।
তিনি বলেন, এটি দুর্ঘটনা নাকি হত্যাকাণ্ড সে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য মৃতদেহ পোস্টমর্টেমের জন্য পাঠানো হয়েছে। অনকাঙ্খিত ঘটনার সঠিক কারণ অনুসন্ধানের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং প্রশাসন কাজ করছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থাকা জেলা পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহ কাওছার বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য সদর থানায় লাশ আনা হয়েছে। নিহতের স্বামী এ ঘটনায় মামলা করেছেন। এটি হত্যাজনিত মামলা। যেভাবে এফআইআর দেওয়া হয়েছে ওইভাবেই, আমরা নিয়েছি। সর্বোচ্চ গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্টের পরে জানা যাবে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে কিনা ? তবে তার মুখমন্ডল এবং মাথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো.আবু তালেব, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মো. আবদুল করিম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিনিয়া চাকমা, প্রেসক্লাবের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বাচ্চুসহ জেলা প্রশাসন ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, সোমবার সকালে জুম চাষের জন্য পাশের পাহাড়ে জুমে গিয়েছিলেন ওই নারী। দুপুর গড়িয়ে গেলেও তিনি বাড়ি না ফেরায় পাড়ার লোকজন তাকে খুঁজতে বের হয়। তারাই জঙ্গলে ভারী কিছু টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার চিহ্ন দেখতে পান। সেই চিহ্ন অনুসরণ করে জঙ্গলের গভীরে গিয়ে ওই নারীর রক্তাক্ত মরদেহ পাওয়ার পর তারা পুলিশে খবর দেন।
তিন্দু ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ভাগ্যচন্দ্র ত্রিপুরা বলেন, ওই এলাকাটি নেটওয়ার্কবিহীন। থানচি উপজেলা সদর থেকে ৩৫- ৪০ কিলোমিটার দূরে। স্থানীয়দের থেকে ঘটনা শুনার পরেই পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
সোমবার বিকেলে থানচি উপজেলার মংখ্যয় পাড়ার পার্শ্ববর্তী জঙ্গল থেকে এক খেয়াং নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।