মা দিবস উপলক্ষে নারী সংগঠন ‘জলকন্যা’র আয়োজনে ছয় দিনব্যাপী যৌথ চিত্র প্রদর্শনী ‘পাহাড় ও পাহাড়ের জীবন’ শেষ হয়েছে গত রবিবার। নারীদের জলরঙ ব্যবহারে সৃজনশীলতা উদযাপনকারী এ সংগঠনের এটি নবম প্রদর্শনী।
গত রবিবার বিকালে ঢাকার ধানমন্ডির সফিউদ্দীন শিল্পালয়ে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড্রয়িং অ্যান্ড পেইন্টিং বিভাগের সুপার নিউমারী অধ্যাপক ফরিদা জামান এবং খ্যাতিমান অভিনয়শিল্পী চিত্রলেখা গুহ।
এবারের আয়োজনে জলরঙ ছাড়াও অ্যাক্রিলিক ও মিশ্র মাধ্যমে আঁকা মোট ৩৩টি শিল্পকর্ম স্থান পায়, যা উপস্থাপন করেন জলকন্যার ১২ জন শিল্পী। প্রদর্শনী কিউরেশনে সহযোগিতা করেন শিল্পী অশোক কর্মকার। টাইটেল স্পনসর হিসেবে পাশে ছিল দ্য সিটি ব্যাংক পিএলসি।
ববি উপাচার্যের অপসারণ দাবিতে অনশনে শিক্ষার্থীরাউদ্বোধনী অনুষ্ঠান তিনটি ভাগে সম্পন্ন হয়। শুরুতেই ছিল মা দিবস উপলক্ষে একটি সাংস্কৃতিক আয়োজন, এরপর প্রধান অতিথিদের বক্তব্য এবং শেষে প্রদ্বীপ প্রজ্বলনের মধ্য দিয়ে মূল অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।
সাংস্কৃতিক পর্বে মায়েদের স্মরণে কবিতা পাঠ এবং গান পরিবেশন করা হয়। কবিতা পাঠ করেন মাহী ফারহানা ও নিশাত জেসমিন। দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করেন স্বপ্না বার্ণাডেট ফ্রান্সিস ও মাহবুবা সুলতানা এবং পাহাড়ি গান পরিবেশন করেন এলিনা চাকমা।
বক্তব্যে চিত্রলেখা গুহ বলেন, “আমি ছিলাম আমার মায়ের মেয়ে এবং বিয়ের পর মা। একজন অভিনয়শিল্পী হয়ে কাজ করার সময় মায়ের দায়িত্ব পালন করা অনেক কষ্টের। অসুস্থ সন্তান গ্রীন রুমে রেখেও স্টেজে অভিনয় করতে হয়েছে এবং তা পরিপূর্ণভাবেই করতে হয়েছে। কেউ বুঝতেই পারেনি আমার সন্তান অসুস্থ।” সন্তান লালন-পালনে মায়েদের ভূমিকাই প্রধান বলে তিনি উল্লেখ করেন।
অধ্যাপক ফরিদা জামান বলেন, “মা হিসেবে আমাদের অনেক কঠিন জায়গা থেকে আগাতে হয়। আমি শিল্পী হওয়ার বাসনা নিয়ে পড়াশোনা করি নি। কিন্তু চিত্রশিল্পী হয়েই ক্যারিয়ার গড়েছি। সন্তানদের নিজ হাতে আগলে রেখেছি।” কর্মব্যস্ত মায়েদের জীবনসংগ্রাম প্রসঙ্গে তিনি তার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।
আরামবাগ কাঁচাবাজারের সামনে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে ছিলেন যুবকঅনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা ও উপস্থাপনায় ছিলেন জলকন্যার প্রতিষ্ঠাতা সুপর্ণা এলিস গমেজ।
প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণকারী শিল্পীরা হলেন—সুপর্ণা এলিস গমেজ, আজাদী পারভীন, সাবিয়া নাসরিন, এলিনা চাকমা, তেরেজা ঈশা গমেজ, ফ্লোরা উর্মিলা রড্রিক, জ্যাকলিন রিয়া রোজারিও, মালেকা সুলতানা নূপুর, শামা সায়োম, মাহী ফারহানা, অপর্ণা তরপদার মৌ এবং সারিয়া মেহসা।
প্রদর্শনীটি আগামী ১৬ মে শুক্রবার পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
