সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

ইউএনএইচসিআর-এর উদ্বেগ

উখিয়া স্পেশালাইজড হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ

আপডেট : ১৩ মে ২০২৫, ০৭:৩৮ পিএম

অর্থ সংকটে রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন কক্সবাজারের উখিয়া স্পেশালাইজড হাসপাতালটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার প্রতিষ্ঠানটি সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরে বুঝিয়ে দেয়া হবে। এতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইউএনএইচসিআর।

ইউএনএইচসিআর-এর কক্সবাজার কার্যালয়ের যোগাযোগ কর্মকর্তা শারি নিজমান জানিয়েছেন, উখিয়া স্পেশালাইজড হাসপাতালটি বাংলাদেশের স্থানীয় জনগণ এবং আশপাশের ক্যাম্পে বসবাসরত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করে আসছিল। হাসপাতালটি ২০২২ সালে ইউএনএইচসিআরের মাধ্যমে জাপানের আর্থিক সহায়তায় নির্মাণ ও সজ্জিত করা হয়। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সাথে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের আওতায়, ২০২৪ সালের মাঝামাঝি থেকে ইউএনএইচসিআর তার সম্পৃক্ততা ধীরে ধীরে হ্রাস করছে। ফ্রেন্ডশিপ এনজিও অস্থায়ী ভিত্তিতে হাসপাতালের সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

তিনি বলেন, অত্যাবশ্যক স্বাস্থ্যসেবার সম্ভাব্য বিঘ্নতা বৈশ্বিক মানবিক সহায়তার ক্রমহ্রাসমান প্রবণতার প্রভাবকে নির্দেশ করে, যার ফলে চাহিদা ও সম্পদের মধ্যকার ব্যবধান আরও প্রশস্ত হচ্ছে। ইউএনএইচসিআর-বাংলাদেশ সরকার হাসপাতালের সেবা কার্যক্রম নির্বিঘ্ন রাখতে তাৎক্ষণিক সমাধানের জন্য সক্রিয়ভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, হাসপাতালটিতে প্রতিদিন বহির্বিভাগে মাতৃস্বাস্থ্য, দন্তরোগ, চক্ষুরোগ, ফিজিওথেরাপি ও ল্যাবরেটরি টেস্টসহ বিভিন্ন সেবা প্রদান করা হত। জরুরি বিভাগে ২৪ ঘণ্টা বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হত। কিন্তু এখন অর্থ সংকটে হাসপাতালটির কার্যক্রম আপাতত বন্ধ করেছে কর্তৃপক্ষ।

এনজিও সংস্থা ফ্রেন্ডশিপ ও উখিয়া স্পেশালাইজড হাসপাতালের চিকিৎসক মো. শাহিনুর বলেন, আপাতত অর্থ সংকটের কারণে স্পেশালাইজড হাসপাতালের কার্যক্রম থেকে বন্ধ রাখা হয়েছে। এখন হাসপাতালের কাজকর্ম গুছিয়ে নিচ্ছি।  ১৪ মে মধ্যে কর্তৃপক্ষের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হবে। যদি পরবর্তীতে সরকার বা দাতা সংস্থা ইউএনএইচসিআর বা অন্য কোনো সংস্থা অর্থায়ন করে তাহলে কার্যক্রম আবারও শুরু করব।

উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ কামরুল হোসেন চৌধুরী বলেন, অর্থ সংকটের কারণে স্পেশালাইজড হাসপাতাল বন্ধ। এটি আপাতত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে চলে যাবে। পরবর্তীতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে যাদের দায়িত্ব দেওয়া হবে তারাই হাসপাতালের কার্যক্রম পুনরায় চালু করবেন।

তিনি আরও বলেন, যতটুকু জেনেছি এই হাসপাতালটি চালাতে অনেক অর্থ ব্যয় হয়।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত