শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

জমি নিয়ে বিরোধে প্রতিবেশীর বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর

আপডেট : ১৪ মে ২০২৫, ১০:৪০ পিএম

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিবেশীর বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট এবং স্বামীকে মারধর ও গৃহবধূকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। বুধবার (১৪ মে) সকালে উপজেলার জাটিয়া ইউনিয়নের নিজতুলন্দর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

 প্রতিপক্ষের হামলায় গৃহবধূ ফাতেমা বেগম(৪৫) ও তার স্বামী কাজী হাফিজুর রহমান(৫০)  আহত হন। স্বজনরা আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক গৃহবধূর স্বামীকে ময়মনসিংহ হাসপাতালে রেফার্ড করে। স্বামীকে হাসপাতালে পাঠিয়ে বুধবার বিকেলেই ভুক্তভোগী গৃহবধূ ফাতেমা বেগম বাদী হয়ে ৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৪-৫ জনকে আসামি করে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযুক্তরা হলেন- ওই গ্রামের প্রয়াত আব্দুল হেকিমের ছেলে মো. আব্দুস ছামাদ (৬২) এবং তার দুই পুত্র মো. মাকসুদ (২৬) ও মো. নাহিম (২২)। 

ফাতেমা বেগম বলেন, প্রতিবেশী আব্দুস ছামাদ ও তার ছেলেরা দীর্ঘদিন যাবৎ আমার স্বামীর ক্রয়কৃত জমি নিয়ে আমাদের সাথে অহেতুক ঝগড়া বিবাদ করে আসছে। এরই জের ধরে  বুধবার সকাল ৬ টার দিকে লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুর শুরু করে। এতে আমি বাধা দিলে আব্দুস ছামাদ ও তার ছেলেরা আমাকে বেধড়ক মারধর করে। তাদের আঘাতে আমি মাটিতে পড়ে গেলে প্রতিপক্ষের লোকজন আমার শ্লীলতাহানি করে। এ সময় বাঁচার জন্য আমি চিৎকার করলে আমার স্বামী দৌড়ে আসে। আমার স্বামীকেও ছাড় দেয়নি তারা। তাদের হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে আমার স্বামীর ডান হাটু ভেঙে ফেলে।

তিনি আরও বলেন,আমাদের মারধর করেই ক্লান্ত হননি তারা। আমাদের বসত ঘরের বেড়া এবং ঘরে থাকা সকল জিনিসপত্র ভাঙচুর করে। এ সময় ঘরের গুরুত্বপূর্ণ মালামাল লুট ও নগদ তিন লাখ টাকা নিয়ে যায় প্রতিপক্ষের লোকজন।

এ প্রসঙ্গে প্রতিপক্ষের মো. আব্দুস ছামাদ বলেন, তারা আগে আমাদের লোকজনের ওপর হামলা করেছে। পরে দুপক্ষের লোকজনেই মারামারিতে লিপ্ত হয়েছে। শ্লীলতাহানির বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা। নিজের কাপড় নিজে ছিঁড়ে এই নাটক সাজানো হয়েছে। 

এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. নয়ন মিয়া বলেন, বিষয়টি সমাধানের লক্ষ্যে এর আগে উভয় পক্ষকে নিয়ে একাধিকবার বসেছি। কিন্তু সমাধান হয়নি। যেহেতু জায়গা নিয়ে আদালতে মামলা চলমান তাই উভয়পক্ষকে ধৈর্য ধরতে বলেছি। কিন্তু আব্দুস ছামাদের ছেলেরা একটু উগ্রপন্থী। শেষ পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে তারা মারামারিতেই জড়ালো। যা অত্যন্ত দুঃখজনক।

ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত