আগামীকাল রবিবার হাইকোর্টের সামনে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি ডেকেছেন ঢাকার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটগুলোর শিক্ষার্থীরা। সেই সাথে সারাদেশের পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটগুলোতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধনের ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম ‘কারিগরি ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ’।
শনিবার (১৭ মে) দুপুরে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সংবাদ সম্মেলন করে এ কর্মসূচি ঘোষণা করে কারিগরি ছাত্র আন্দোলন।
সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি ও ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী জোবায়ের পাটোয়ারী জানান, তাদের আন্দোলন এখনো শেষ হয়নি। তাদের প্রথম দাবি ছিল ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের নিয়ে। ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের সমস্যার যে সমাধান সেটি তারা এখনো দেখতে পাননি।
মন্ত্রণালয় পদক্ষেপ নিলেও হাইকোর্টের যে রায় আছে, সেটি নিয়ে কোনো ফলাফল না পাওয়ার তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘এ রায়টি নিয়ে শুনানি করা হয়েছিল, সেদিন রায়টি স্থগিত করা হয়।’
হাইকোর্টের স্থগিত রায়ের শুনানির দিন রবিবার ধার্য করা আছে জানিয়ে জোবায়ের পাটোয়ারী জানান, তারা চান এই রায়টি সম্পূর্ণ নিষ্পত্তি করা হোক। এদিন প্রত্যেকটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করা হবে এবং ঢাকার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটগুলোর শিক্ষার্থীরা হাইকোর্টের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবেন। সরকারের কাছে তাদের আবেদন দাবিগুলো দ্রুততম সময় মেনে নিক।
উল্লেখ্য ৬ দফা পূরণে দীর্ঘদিন থেকে দাবি জানিয়ে আসা পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীরা গত ১৬ এপ্রিল থেকে রাস্তায় আন্দোলনে নামেন।সপ্তাহখানেক এই কর্মসূচি চালানোর পর শিক্ষা মন্ত্রণালয় তাদের দাবি বাস্তবায়নের রূপরেখা প্রণয়নে কমিটি গঠন করে। এরপর তারা আন্দোলন স্থগিত করেন।তবে পরদিনই সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।৭ মে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটগুলোর শাটডাউন কর্মসূচি শিথিল করে ক্লাশ চালানোর সিদ্ধান্ত নিলেও শিক্ষার্থীরা ফরম পূরণ ও পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেন।