ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে জায়গা দখল করে ঘর নির্মাণকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে ওসিসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। সোমবার সকালে উপজেলার ইউনিয়নের কুলিকুন্ডা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নের কুলিকুন্ডা গ্রামের ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ কাউসার মিয়া প্রতিবেশী বিএনপি সমর্থক মোহাম্মদ এরশাদ মিয়ার বাড়ির জায়গা দখল করে ঘর নির্মাণ কাজ চালিয়ে আসছিল। এ ঘটনায় এরশাদ মিয়া আদালতে মামলা করেন। এসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় একাধিক সালিশ সভা হয়।
সম্প্রতি উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল হান্নানের নেতৃত্বে মীমাংসার জন্য একটি সালিশ সভা হয়। সালিশের রায়কে অমান্য করে সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ কাউসারের প্রায় শতাধিক লোকজন দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে প্রতিপক্ষ বিএনপি সমর্থক মোহাম্মদ এরশাদের বাড়িঘরে হামলা চালায়। এসময় এলাকার লোকজন বাধা দিতে গেলে তাদের উপর অর্তকিত হামলা চালায় কাউসারের লোকজন। হামলাকারী এরশাদের বাড়ির ৩টি ঘর ব্যাপক ভাঙচুর করে নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কারসহ মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
খবর পেয়ে নাসিরনগর থানার ওসি মো. খায়রুল আলমের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। এসময় পুলিশের ওপরও হামলা চালানো হয়।
প্রায় ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে আহতরা হলেন- নাসিরনগর থানার ওসি মো. খায়রুল আলম (৪২), পুলিশ সদস্য মো. মামুনুর রশিদ (৩৬), আক্কাস মিয়া (৬০), মামুন মিয়া (২৫), শাকিব মিয়া (১৮), জাহাঙ্গীর (৪৮), রোকসান বেগম (৪৮), রেহেনা (৩০), চুমকি আক্তার (১৪), রহমান মিয়া (৪৪), আলী আকবর, (৩৪), আজিজ, (২৬), জসিম মিয়া (৪৫), মোছাঃ ছায়াতুন্নেছা (৬০), শিল্পী আক্তার (৩০), হোসনেহার বেগম (৪৫)। তাদেরকে নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়।
নাসিরনগর থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই চম্পক চক্রবর্তী বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। ওসি স্যার আহত হয়ে বর্তমানে বিশ্রামে আছেন। এ ঘটনায় রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত কোনো পক্ষ থানায় অভিযোগ করেননি।