শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

ইসরায়েল-ইরান সংঘাত

আপডেট : ১৭ জুন ২০২৫, ০৩:১৩ এএম

২০২৫ সালের এই মুহূর্তে মধ্যপ্রাচ্যে সংঘটিত ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ শুধু দুই দেশের মধ্যে সশস্ত্র সংঘর্ষ নয়, এটি বিশ্বরাজনীতির এক জটিল ও বহুমাত্রিক অধ্যায়। লিখেছেন অনিন্দ্য নাহার হাবীব

বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে তীব্র হচ্ছে ইরান ও ইসরায়েলের সামরিক সংঘাত। গত চারদিন ধরে উভয় পক্ষই একে অপরের ওপর মুহুর্মুহু হামলা চালাচ্ছে, যা দশকের পর দশক ধরে চলে আসা স্নায়ুযুদ্ধের এক চরম বহিঃপ্রকাশ। এই তীব্র আক্রমণে ইসরায়েলে অন্তত ১৩ জন নিহত এবং ইরানে ২২০ জনের বেশি প্রাণ হারিয়েছে, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক। ইসরায়েলের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলার প্রতিশোধ হিসেবে ইরান পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে, এবং ইসরায়েলও ইরানের শীর্ষ সামরিক কমান্ডার ও পারমাণবিক বিজ্ঞানীদের লক্ষ্য করে ব্যাপক অভিযান চালাচ্ছে। বিশ্বজুড়ে এই সংঘাত নিয়ে গভীর উদ্বেগ বিরাজ করছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানাচ্ছে। একদিকে যেখানে ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় বিবাদ রঙ তোলে, অন্যদিকে সেখানে তেলের গভীর প্রভাব এবং গ্লোবাল পাওয়ার পলিটিক্স মিশে রয়েছে। আসুন, এই সংঘাতের পেছনের গভীর রাজনৈতিক, ঐতিহাসিক, ধর্মীয় এবং অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটগুলো সহজভাবে বোঝার চেষ্টা করি।

কেন এই হামলা

সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্যে এক অভূতপূর্ব সামরিক সংঘাতের সূচনা হয়েছে, যা বহু দশক ধরে চাপা থাকা ইসরায়েল ও ইরানের স্নায়ুযুদ্ধের চরম বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে। ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে ইসরায়েলের ব্যাপক বিমান হামলা এবং এর প্রতিশোধে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপএই গোটা অঞ্চলকে এক নতুন ও বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে ঠেলে দিয়েছে।

ইসরায়েল দাবি করেছে, ইরান গোপনে পারমাণবিক বোমা তৈরির চেষ্টা করছিল, যা ইসরায়েলের অস্তিত্বের জন্য ‘অনেক বড় ঝুঁকি’। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বহু বছর ধরে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে ইসরায়েলের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হিসেবে দেখছেন। তার মতে, ইরানের পারমাণবিক বোমা তৈরি ঠেকানোর জন্য এটাই ছিল ‘শেষ সুযোগ’। ইসরায়েল জানিয়েছে, তাদের লক্ষ্য ছিল ইরানের পারমাণবিক হুমকিকে গুঁড়িয়ে দেওয়া এবং দেশটির নেতৃত্বকে দুর্বল করা।

২০১৫ সালে ইরান বিশ্বশক্তির সঙ্গে একটি পারমাণবিক চুক্তি (JCPOA) করেছিল, যেখানে তারা ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের মাত্রা ৩.৬ শতাংশে সীমিত রাখতে সম্মত হয়েছিল, যা শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য যথেষ্ট। কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৮ সালে এই চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার পর ইরান ধীরে ধীরে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বাড়াতে শুরু করে। বর্তমানে তারা ৬০ শতাংশ পর্যন্ত ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করছে, যা বোমা তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় মাত্রার (৯০ শতাংশ) অনেক কাছাকাছি। ইসরায়েল ইরানের বিরুদ্ধে ব্যাপক সামরিক অভিযান চালিয়েছে, যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’। এই হামলায় প্রায় ২০০টি যুদ্ধবিমান এবং ইরানের ভেতরে থাকা গোপন গোয়েন্দা দল জড়িত ছিল বলে ইসরায়েল দাবি করেছে। ইসরায়েলি গুপ্তচর সংস্থার প্রকাশ করা ছবিতে কমান্ডোদের ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ ঘাঁটিতে হামলা চালাতে দেখা গেছে।

ইসরায়েল ইরানের বিভিন্ন পারমাণবিক স্থাপনা, ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি এবং সামরিক কেন্দ্রগুলোতে হামলা চালিয়েছে। এর মধ্যে নাতানজের পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র, ইসফাহানের একটি পারমাণবিক স্থাপনা এবং কামানশাহর মতো স্থানগুলো প্রধান। নাতানজের স্থাপনাটি জাতিসংঘের পারমাণবিক নজরদারি সংস্থা দ্বারা ‘ধ্বংস’ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বেরি এবং বিপ্লবী গার্ডসের প্রধান মেজর জেনারেল হুসেইন সালাম-সহ শীর্ষ সামরিক কমান্ডার ও অন্তত ছয়জন পারমাণবিক বিজ্ঞানী এই হামলায় নিহত হয়েছেন বলে ইসরায়েল জানিয়েছে। ইসরায়েলের হামলার প্রতিশোধে ইরানও চুপ থাকেনি। ইরানের বিপ্লবী গার্ডস ইসরায়েলের সামরিক কেন্দ্র ও বিমান ঘাঁটিসহ ডজনখানেক লক্ষ্যবস্তুতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর দাবি করেছে।

আকাশে বিস্ফোরণ : তেল আবিব ও জেরুজালেমের আকাশে বিশাল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। তবে এর মধ্যে কোনটি ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাত এবং কোনটি ইসরায়েলের ‘আয়রন ডোম’ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে আটকানো হয়েছে, তা স্পষ্ট নয়।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি ইসরায়েলকে ‘ভয়াবহ ভুল’ করার জন্য অভিযুক্ত করেছেন এবং এর ‘বিধ্বংসী পরিণতি’ হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। ইরানে শত শত বিক্ষোভকারী প্রতিশোধের দাবিতে রাস্তায় নেমে এসেছে।

সংঘাতের প্রেক্ষাপট

এই যুদ্ধ শুধু দুটি দেশের সামরিক সংঘাত নয়, এর পেছনে রয়েছে গভীর রাজনৈতিক, ঐতিহাসিক, ধর্মীয় এবং অর্থনৈতিক কারণ। মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনীতি শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে আন্তর্জাতিক শক্তিগুলোর জন্য একটি ‘কৌশলগত কেন্দ্রবিন্দু’। ১৯৪৮ সালে ইসরায়েলের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর থেকেই পশ্চিমা দেশগুলো বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় শক্তি এ অঞ্চলে নিজেদের প্রভাব বিস্তারে নিয়োজিত। আমেরিকা ইসরায়েলের সবচেয়ে শক্তিশালী মিত্র। তারা ইসরায়েলকে রাজনৈতিক, সামরিক ও কূটনৈতিক সাহায্য দেয়। ইসরায়েলকে একটি গ্লোবাল স্ট্র্যাটেজিক অ্যালায় হিসেবে দেখা হয়, যা মধ্যপ্রাচ্যের শক্তিশালী মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর বিরুদ্ধে এক পাল্টা মোর্চা হিসেবে কাজ করে। এই মিত্রতা মধ্যপ্রাচ্যে যুক্ত রাষ্ট্রের প্রভাব বজায় রাখতে সাহায্য করে। রাশিয়া ও চীন, বৈশ্বিক রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ দুটি শক্তি, ইরানের সঙ্গে তাদের সম্পর্ককে মধ্যপ্রাচ্য নীতিতে একটি মূল উপাদান হিসেবে দেখে। সিরিয়ার ক্ষেত্রে, রাশিয়া একসময় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল, যা মধ্যপ্রাচ্যের ক্ষমতার ভারসাম্যে একটি নতুন দিক এনেছিল। তবে বর্তমানে বাশার আল-আসাদ আর সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট নেই। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে তার সরকারের পতন হয়েছে এবং সিরিয়া এখন একটি অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে রয়েছে। রাশিয়ার মধ্যপ্রাচ্যের কৌশল এখন সিরিয়ায় আসাদের অনুপস্থিতিতে নতুন করে বিন্যস্ত হচ্ছে। অন্যদিকে, চীন তার ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ (BRI) এর মাধ্যমে এই অঞ্চলে প্রবেশ করেছে। এই উদ্যোগের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের তেল ও গ্যাস সম্পদ অপরিহার্য, যা চীনের ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদা মেটাতে সাহায্য করে। চীনের এই পদক্ষেপ মূলত অর্থনৈতিক হলেও, এর ভূ-রাজনৈতিক প্রভাব রয়েছে। ইরানের সঙ্গে রাশিয়া ও চীনের সম্পর্ক তাদের নিজ নিজ মধ্যপ্রাচ্য নীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, কারণ ইরান এই অঞ্চলের একটি প্রভাবশালী দেশ এবং তাদের অভিন্ন ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থ প্রায়শই যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলোর প্রভাবকে চ্যালেঞ্জ করে।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন : ইউরোপীয় ইউনিয়ন সব সময় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একমত নয়। জেসিপিওএ (JCPOA) পারমাণবিক চুক্তি বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা ইউরোপের প্রধান লক্ষ্য ছিল। তারা মনে করে, আমেরিকার কঠোর অবস্থান ইরানের সঙ্গে উত্তেজনা বাড়িয়েছে, যা ইউরোপের জ্বালানি নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি।

এই বৃহৎ রাজনীতির খেলার মধ্যে ইসরায়েল ও ইরানের যুদ্ধ শুধু দুটি দেশের মধ্যে সংঘাত নয়, এটি আসলে গ্লোবাল পাওয়ার স্ট্রাগলেরই অংশ। অনেকেই একে ‘তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের পূর্বাভাস’ হিসেবে দেখছেন, কারণ এতে পরাশক্তিগুলো সরাসরি বা পরোক্ষভাবে জড়িয়ে পড়ছে।

ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট

ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যকার শত্রুতা নতুন নয়; এর শেকড় অনেক গভীরে প্রোথিত।

ইসরায়েল প্রধানত একটি ইহুদি রাষ্ট্র, আর ইরান একটি শিয়া ইসলামি প্রজাতন্ত্র। এই দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে বহু শতাব্দীর ধর্মীয় ও রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব রয়েছে। শিয়া ইসলামে ইরান নিজেকে মুসলিম বিশ্বে নেতৃত্বের দাবি করে। অন্যদিকে, ইসরায়েল ফিলিস্তিনের মুসলিমদের অধিকার না দিয়ে নিজেদের রাষ্ট্র গঠন করেছে বলে আরব ও মুসলিম বিশ্বের অধিকাংশ দেশের অসন্তোষ। এই ধর্মীয় বিভাজন সংঘাতকে আরও উসকে দেয়।

ইরানের সামরিক ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব হামাস ও হিজবুল্লাহর মতো সংগঠনগুলোকে সমর্থন দিয়ে এসেছে, যারা ইসরায়েল-বিরোধী গেরিলা কার্যক্রম চালায়। এই দ্বন্দ্বের কারণে বহু যুদ্ধ ও ছোট-বড় সংঘাত হয়েছে, যেখানে ইরান ফিলিস্তিনিদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।

তেলভিত্তিক অর্থনীতি

মধ্যপ্রাচ্যের অর্থনীতি অনেকটাই নির্ভরশীল তেলের ওপর। ইরান বিশ্বের অন্যতম প্রধান তেল ও গ্যাস উৎপাদক দেশ। ইরানের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে, যা তাদের তেল রপ্তানিকে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এখন যুদ্ধের জেরে তেলের মূল্য ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, যা গোটা বিশ্বঅর্থনীতিতে অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে। জ্বালানি তেলের দাম বাড়লে পরিবহন খরচ থেকে শুরু করে পণ্য উৎপাদনের ব্যয় সবকিছুই বেড়ে যায়, যার ফলে বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি দেখা দিতে পারে।

মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা তেলের সরবরাহকে বাধাগ্রস্ত করবে। এই অঞ্চলের যেকোনো উত্তেজনা বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর শিল্প ও পরিবহন খাতের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। তেলবাহী জাহাজ চলাচলে ব্যাঘাত ঘটলে বিশ্ববাজারে ব্যাপক সংকট তৈরি হতে পারে। এই অস্থিরতার কারণে ইউরোপ ও আমেরিকায় নবায়নযোগ্য শক্তি উৎসের দিকে ঝোঁক বাড়ছে, তবে মধ্যপ্রাচ্যের তেলের প্রাধান্য এখনো কমেনি, বিশেষ করে শিল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য।

আধুনিকযুদ্ধ কৌশল

ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ এখন আধুনিক প্রযুক্তির ময়দানে পরিণত হয়েছে। ইরান ড্রোন প্রযুক্তিতে বেশ দক্ষতা অর্জন করেছে, যা ইসরায়েলের নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে। পাল্টা ইসরায়েলি ‘আয়রন ডোম’ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করছে, তবে কিছু আঘাত এড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। এটি প্রমাণ করে যে আধুনিকযুদ্ধ কৌশল কতটা উন্নত হয়েছে। উভয় পক্ষ সাইবার আক্রমণের মাধ্যমে একে অপরের যোগাযোগ ও সামরিক অবকাঠামোতে বিঘœ ঘটাচ্ছে। সাইবার যুদ্ধ অদৃশ্য হলেও এর প্রভাব ব্যাপক ধ্বংসাত্মক হতে পারে।

ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে বিশ্ব উদ্বিগ্ন। ইসরায়েল আশঙ্কা করছে যে ইরান পারমাণবিক বোমা তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছে, যা আঞ্চলিক ও বিশ্বশান্তির জন্য বড় হুমকি। এই যুদ্ধে শুধু মধ্যপ্রাচ্যের নয়, গোটা বিশ্বের শান্তি ঝুঁকির মুখে। জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং অনেক রাষ্ট্র শান্তির আহ্বান জানিয়ে এলেও বাস্তবতা খুব কঠিন। মধ্যস্থতার প্রচেষ্টা বারবার ব্যর্থ হচ্ছে কারণ উভয় পক্ষই নিজেদের অবস্থানে অনড়। যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চীনের কূটনৈতিক সমঝোতা জরুরি। তাদের পারস্পরিক বিশ্বাসের অভাবে সংঘর্ষ দীর্ঘায়িত হতে পারে এবং এতে মধ্যপ্রাচ্যের বাইরেও সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বাড়বে।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত