বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

পাদুকা শিল্পে ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি

আপডেট : ১৭ জুন ২০২৫, ১২:৫২ পিএম

২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবনায় পাদুকা খাতে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) আরোপের সিদ্ধান্ত বাতিল করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পাদুকা প্রস্তুতকারক সমিতি। আজ মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সামনে সমিতির পক্ষ থেকে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংগঠনটি বিশেষ করে প্লাস্টিক ও রাবারের তৈরি হাওয়াই চপ্পল এবং প্লাস্টিক পাদুকার (প্রতি জোড়া ১৫০ টাকা পর্যন্ত মূল্য সীমায়) উৎপাদন ও বিপণন পর্যায়ে মূসক/ভ্যাট অব্যাহতি পুনর্বহালের জন্য দাবিদাওয়া করে।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সমিতির নেতারা। তারা বলেন, ভ্যাট প্রত্যাহার করে ১৫ শতাংশ কর আরোপের কারণে দেশের বাজারে বিদেশি সমজাতীয় পাদুকা আমদানির পরিমাণ বেড়ে গেছে। ফলে এই খাতে মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রার অপচয় হচ্ছে এবং ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের মাধ্যমে গড়ে ওঠা বিকাশমান পাদুকা শিল্প সংকটাপন্ন অবস্থায় পড়েছে।

সমিতির আইন উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মো. তাইফুল সিরাজ বলেন, “প্লাস্টিক ও রাবারের তৈরি হাওয়াই চপ্পল ও পাদুকার ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব অযৌক্তিক। এটি কার্যকর হলে সাধারণ জনগণের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাবে। বিশেষ করে শ্রমজীবী, হকার, দিনমজুর, কৃষক, রিকশা-ভ্যান চালক ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। ভ্যাট অব্যাহতির কারণে পণ্যের উৎপাদন খরচ উল্লেখযোগ্য হারে কমেছিল। এর ফলে ১৫০ টাকা মূল্যের রাবার ও প্লাস্টিকের চপ্পল সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থেকেও সরবরাহ অব্যাহত ছিল। এই কম খরচ সরাসরি ভোক্তার কাছে পৌঁছেছিল, যা দরিদ্র মানুষের জন্য সাশ্রয়ী দামে প্রয়োজনীয় পাদুকা ক্রয় সম্ভব করেছিল।”

তিনি আরও জানান, ২০১৬ সালে প্লাস্টিক ও রাবারের পাদুকার ওপর মূসক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু চলতি অর্থবছরের মাঝামাঝি, ৯ জানুয়ারি জারি করা এসআরওয়ের মাধ্যমে এই মূল্য সংযোজন কর অব্যাহতি বাতিল করা হয়। এরপর ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে মূসক আরোপের প্রস্তাব রাখা হয়েছে।

সংগঠনটি সরকারের কাছে ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে। দাবি পূরণ না হলে তারা মানববন্ধন, অবস্থান ধর্মঘট ও সর্বশেষে কারখানা বন্ধের মতো কঠোর আন্দোলনের প্রস্তুতি নেবে।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন সমিতির সভাপতি হাজী মোহাম্মদ ফজলু, অফিস সচিব মো. ইমরুল কায়েস, উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্যসহ বিভিন্ন পাদুকা প্রতিষ্ঠান, মালিক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও কারখানার শ্রমিকরা।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত