শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

বিদেশে থাকা হাছান মাহমুদ ও তার স্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা 

আপডেট : ২৩ জুন ২০২৫, ০৬:৩৩ পিএম

গণঅভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আত্মগোপনে চলে যান দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী হাছান মাহমুদ। ইতোমধ্যে তিনি লন্ডনে অবস্থান করছেন বলে বিভিন্ন মাধ্যমে জানা যায়।

আজ সোমবার হাছান মাহমুদ ও তার স্ত্রী নূরান ফাতেমার দেশত্যাগের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ঢাকার একটি আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন এ আদেশ দেন।

এর আগে দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৬ জানুয়ারি হাছান মাহমুদ ও তার পরিবারের ৭৭টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দেয় আদালত।

গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের ক্ষমতাচ্যুতির পর হাছান মাহমুদকে এই কয়েকমাসে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। গত রমজানের ঈদে লন্ডনে তিনি ঈদের নামাজ পড়েন এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন বলে বিভিন্ন মাধ্যমে জানা যায়। হাছান মাহমুদ ও তার স্ত্রী নূরান ফাতেমার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে দুদকের পক্ষে দুটি আবেদন করেন সংস্থার সহকারী পরিচালক আল-আমিন।

এর মধ্যে হাছান মাহমুদের আবেদনে বলা হয়, মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে অবৈধভাবে এক কোটি ১১ লাখ ৫৫ হাজার ৩১৮ টাকার সম্পদের মালিকানা অর্জন করেন তিনি। তার নিজ, যৌথ ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের নামে ৯টি ব্যাংক হিসাবে ৩৯ কোটি ৭৬ লাখ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য মিলেছে। এই অর্থ পাচারের অভিযোগে গত ৬ এপ্রিল মামলা করে দুদক। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তার বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা প্রয়োজন।

নূরান ফাতেমার আবেদনে বলা হয়, স্বামীর ক্ষমতার অপব্যবহার করে নূরান ফাতেমা ৫ কোটি ৫২ লাখ টাকা মূল্যের সম্পদের মালিকানা অর্জন করেন। তার নিজ, যৌথ ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের নামে পরিচালিত ৫৬টি ব্যাংক হিসাবে ৬৮৩ কোটি ১৫ লাখ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য মিলেছে। গত ৬ এপ্রিল দুদক তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তার বিদেশ গমন ঠেকানো দরকার। 

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত