বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

পুঁজিবাজারে অসংশোধনযোগ্য হিসাব সংরক্ষণ সফটওয়্যার

আপডেট : ০৪ জুলাই ২০২৫, ০৭:৩১ এএম

দেশের শেয়ারবাজারে স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতা ও বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষায় ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই ও সিএসই) ২৯১টি ডুয়েল ট্রেক হোল্ডারের মধ্যে ২৪৪টি ট্রেক হোল্ডার সফলতার সঙ্গে অসংশোধনযোগ্য ব্যাক অফিস সফটওয়্যার পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়ন সম্পন্ন করেছে। এ ছাড়াও সিএসইর ৮২টি সিঙ্গেল ট্রেক হোল্ডারের মধ্যে ৪২টি ট্রেক হোল্ডার সফটওয়্যারটি পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করেছে। অবশিষ্ট ট্রেক হোল্ডারদের সফটওয়্যারটি স্থাপনের জন্য ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

গত ১ জুলাই বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গতকাল সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কমিশন এই তথ্য জানিয়েছে।

উল্লেখ্য, ট্রেক হোল্ডাররা হলো ব্রোকারেজ হাউজ বা স্টক ব্রোকার, যারা বিনিয়োগকারীদের পক্ষে শেয়ার কেনাবেচা করে থাকে। আর অসংশোধনযোগ্য ব্যাক অফিস সফটওয়্যার ব্যবহারের মাধ্যমে ব্রোকারেজ হাউসগুলোতে বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ও অর্থের হিসাব সংরক্ষণ করা হয়, যা পরবর্তীতে আর পরিবর্তন করা যায়না। এর মাধ্যমে লেনদেনের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা যায়।

ইতিপূর্বে পুঁজিবাজারে ট্রেক হোল্ডারদের অনেকেই একাধিক ব্যাক অফিস সফটওয়্যার ব্যবহার করতেন। যে পদ্ধিতিতে বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বিক্রি ও নগদ অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগ ছিল ট্রেক হোল্ডারদের বিরুদ্ধে। সেজন্য কমিশন একাধিক ব্যাক অফিস সফটওয়্যার ব্যবহার না করার পরিবর্তে অসংশোধনযোগ্য ব্যাক অফিস সফটওয়্যার পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়নের নিদের্শনা জারি করেছিল।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ডিএসই ও সিএসইর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অবশিষ্ট ট্রেক হোল্ডারদের অসংশোধনযোগ্য ব্যাক অফিস সফটওয়্যার বাস্তবায়নের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে।

এর মধ্যে ডিএসইর মিনহার সিকিউরিটিজ; শেলটেক ব্রোকারেজ; ব্যাংক এশিয়া; আইসিবি সিকিউরিটিজ; আইএফআইসি সিকিউরিটিজ এবং ইউনিক্যাপ সিকিউরিটিজকে আগামী ৩১ জুলাই পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে।

ডিএসইর ট্রেক হোল্ডার স্কয়ার সিকিউরিটিজ; পূবালি ব্যাংক সিকিউরিটিজ, কাজী ইক্যুইটি; এইচএসি সিকিউরিটিজ; মিকা সিকিউরিটিজ; ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটিজ; স্টক অ্যান্ড বন্ড লিমিটেড; ফারিস্ট ইসলামি সিকিউরিটিজ; অ্যাসোসিয়েট ক্যাপিটাল সিকিউরিটিজ এবং ডোরিন ক্যাপিটালকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে।

আর ৩১ আগস্টের মধ্যে এ এন ডব্লিউ সিকিউরিটিজ; এ এল সিকিউরিটিজ; আহমেদ ইকবাল হাসান সিকিউরিটিজ; এআরসি সিকিউরিটিজ; আজম সিকিউরিটিজ; আনোয়ার সিকিউরিটিজ; এশিয়া সিকিউরিটিজ; আলকো সিকিউরিটিজ; ক্রিস্টাল সিকিউরিটিজ; কোনমার্ক সিকিউরিটিজ; দৌলতুননেসা ইক্যুইটি; ফেডারেল সিকিউরিটিজ; গ্রীনল্যান্ড ইক্যুইটি; হাজি মোহাম্মদ আলী সিকিউরিটিজ; হযরত আমানত শাহ সিকিউরিটিজ; হেদায়েতউল্যাহ সিকিউরিটিজ; ইমতিয়াজ হুসাইন সিকিউরিটিজ; জাহান সিকিউরিটিজ; জামাল আহমেদ সিকিউরিটিজ; মেঘনা লাইফ সিকিউরিটিজ; নবিউল করিমন সিকিউরিটিজ; ওসাদি সিকিউরিটিজ; পিস সিকিউরিটিজ; সেবা ক্যাপিটাল; এসসিএল সিকিউরিটিজ; শাহেদ সিকিউরিটিজ; শ্যামল ইক্যুইটি; সুরমা সিকিউরিটিজ; দিয়া সিকিউরিটিজ এবং আইআইডিএফসি সিকিউরিটিজকে ৩১ আগস্টের মধ্যে বাস্তবায়নের সময় দেওয়া হয়েছে।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জর অবশিষ্ট ট্রেক হোল্ডারদের মধ্যে নর্থ ওয়েস্ট সিকিউরিটিজ; নিজামস শেয়ার অ্যান্ড সিকিউরিটিজ; এ এ সিকিউরিটিজ; পাইওনিয়ার শেয়ার অ্যান্ড সিকিউরিটিজ; হিল সিটি সিকিউরিটিজ; জাটাল সিকিউরিটিজ; ইমপিল সিকিউরিটিজ; মিরপুর সিকিউরিটিজ; রিলায়েন্স সিকিউরিটিজ; ইআইসি সিকিউরিটিজ; সানমার ক্যাপিটাল; স্টারপোর্ট সিকিউরিটিজ; এস এন সিকিউরিটিজ; ফরমোস্ট সিকিউরিটিজ; মোনতাহা শেয়ার অ্যান্ড ক্যাপিটাল; পরম সিকিউরিটিজ; সেঞ্চুরি সিকিউরিটিজ লিমিটেডকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে।

আর ৩০ আগস্টের মধ্যে আদমস সিকিউরিটিজ; বি কে ক্যাপিটাল; সিকিউর ক্যাপিটাল; আজিম সিকিউরিটিজ; জিআইসি সিকিউরিটিজ; ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট; সুপার শেয়ার অ্যান্ড সিকিউরিটিজ; আহমেদ সিকিউরিটিজ; চৌধুরী সিকিউরিটিজ; অ্যাবাকাস সিকিউরিটিজ; পূরবী সিকিউরিটিজ; ডিএন সিকিউরিটিজ; ইন্টারকন্টিনেন্টাল সিকিউরিটিজ; ০১ লিমিটেড; লোটাস শেয়ার অ্যান্ড সিকিউরিটিজ; ভ্যানটেগ সিকিউরিটিজ; মেঘনাসিটি সিকিউরিটিজ; ওয়েস্টার্ন সিকিউরিটিজ; জেসকো ক্যাপিটাল; হলমার্ক সিকিউরিটিজ; প্যাসিফিক ইক্যুইটিকে সময় দেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত