বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১
দেশ রূপান্তর

খাসোগি ইস্যুতে তদন্তে নামছে ডেমোক্রেটরা

আপডেট : ২৪ নভেম্বর ২০১৮, ০৭:৪০ পিএম

সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যাকাণ্ড নিয়ে তদন্ত চালাবে যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্রেট নীতিনির্ধারকরা। সেই সঙ্গে এ ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র-সৌদি আরবের সম্পর্ক গভীরভাবে খতিয়ে দেখা হবে।

এক প্রতিবেদনে আল জাজিরা জানিয়েছে, মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের সদস্যদের নিয়ে গঠিত হাউজ ইন্টেলিজেন্স কমিটি এ বিষয়ে তদন্ত করবে। কমিটির প্রধান অ্যাডাম শিফ শুক্রবার জানান, যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের সম্পর্ক নিয়ে গভীর অনুসন্ধান চালাবেন তারা।  

ওয়াশিংটন পোস্টকে এ ডেমোক্রেট প্রতিনিধি আরও বলেন, খাসোগি হত্যাকাণ্ড ও সেই সঙ্গে ইয়েমেন যুদ্ধে অংশগ্রহণ নিয়ে মার্কিন গোয়েন্দাদের পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন তদন্ত করে দেখবে কমিটি। এছাড়া সৌদি রাজপরিবারের অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা, সংবাদমাধ্যম ও সমালোচকদের প্রতি তাদের দৃষ্টিভঙ্গি ও আচরণও খতিয়ে দেখা হবে।

অ্যাডাম শিফ বলেন, অবশ্যই আমরা খাসোগি হত্যাকাণ্ড নিয়ে গভীর অনুসন্ধান চালিয়ে দেখব। এই হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কতটুকু জানতো সেটি বের করতে চাই।

তবে শিফের মন্তব্য নিয়ে এখনও কোন প্রতিক্রিয়া দেখায়নি হোয়াইট হাউজ।

মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের এই কমিটির জ্যেষ্ঠ প্রতিনিধি শিফ। তার দল এই কমিটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে তিনি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পান। এই কমিটির মাধ্যমে ডেমোক্রেটরা এখন ট্রাম্প এবং তার প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন ও তদন্ত চালাতে পারবে।

এদিকে সিআইএ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের নির্দেশেই খাসোগিকে হত্যা করা হয়। কিন্তু এ প্রতিবেদন নাকচ করে দেন ট্রাম্প। 

মঙ্গলবার সিআইএ’র তদন্ত সম্পর্কে নিজের সন্দেহ প্রকাশ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। প্রতিবেদনটিতে এ ঘটনার নিয়ে কোন উপসংহার পাওয়া যায় না বলে উল্লেখ করেন তিনি। সৌদি নেতৃবৃন্দের সমর্থনে ট্রাম্প বলেন, সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ ও যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান এই ঘটনার সাথে নিজেদের সম্পৃক্ততা তীব্রভাবে নাকচ করে দিয়েছেন।

এমন মন্তব্যে শিফ বলেন, সৌদি আরবের সাথে ট্রাম্পের ব্যক্তিগত আর্থিক লেনদেন ও ব্যবসায়িক যোগাযোগ খতিয়ে দেখা হবে।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরও নিজ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে আছেন ট্রাম্প। ২০১৫ সালেও সৌদি আরবের সাথে ব্যবসায়িক লেনদেনে তার প্রতিষ্ঠান শত শত মিলিয়ন ডলার আয় করে।    

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত