গর্ভে জিন পাল্টে দেওয়ার দাবি করে তোলপাড় সৃষ্টিকারী বিজ্ঞানীদের গবেষণা কর্মকাণ্ডের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে চীনা কর্তৃপক্ষ। তাদের কর্মকাণ্ড ‘চরমভাবে প্রকৃতিবিরুদ্ধ’ এবং চীনা আইনের লঙ্ঘন উল্লেখ করে বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেওয়া হয়।
শেনজেন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির সহযোগী অধ্যাপক হি জিয়ানকুই সোমবার দাবি করেন, তার তত্ত্বাবধানে মায়ের পেটেই জিনগত কিছু পরিবর্তন ঘটিয়ে দু’জন জমজ শিশুর জন্ম হয়েছে।
তিনি বলেন, ডিএনএতে পরিবর্তন আনায় তাদের এইচআইভিতে আক্রান্ত হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই; যদিও এ শিশুদের বাবা এ ভাইরাসে আক্রান্ত।
এক ভিডিওতে অধ্যাপক হি বলেন, সিসিআর-৫ নামে ক্ষতিকর একটি জিন তিনি শিশু লুলু ও নানার ডিএনএ থেকে সরিয়ে নিয়েছেন।
এ গবেষণা বিশ্বজুড়ে আলোড়ন তুললেও ভালোভাবে নেয়নি চীন সরকার। দেশটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপমন্ত্রী জু নানপিং রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়াকে বলেন, জিন সম্পাদিত শিশুর জন্ম চীনা আইন এবং বিজ্ঞানের নৈতিকতার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
সিনহুয়ার বরাত দিয়ে সিএনএন জানিয়েছে, ওই বিজ্ঞানীদের এ ধরনের গবেষণার উপরে স্থগিতাদেশ দিয়েছে দেশটি।
চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অ্যাসোসিয়েশনও এর নিন্দা জানিয়েছে। এর আগে হি জিয়ানকুইয়ের নিজের বিশ্ববিদ্যালয় এই গবেষণার সমালোচনা করে তা তদন্তের ঘোষণা দেয়।
জিনগত পরিবর্তন নিয়ে বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা পৃথিবীর অনেক দেশেই নিষিদ্ধ। যুক্তরাষ্ট্রসহ কিছু দেশ কেবল পরীক্ষাগারেই এমন গবেষণার অনুমতি দেয়। তাই চীনা গবেষকের ঘোষণায় চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের মধ্যে শুরু হয়েছে বিতর্ক।