বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫, ১১ চৈত্র ১৪৩১
দেশ রূপান্তর

‘হংসবলাকা’য় প্রধানমন্ত্রী

আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৭:২৮ পিএম

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের দ্বিতীয় ড্রিমলাইনার ‘হংসবলাকা’ পরিদর্শন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গতকাল বুধবার বোয়িং ৭৮৭-৮ নামের ড্রিমলাইনারটিতে আরোহনের পাশাপাশি ভিভিআইপি টারমাকে থাকা বিমানটির ককপিটসহ বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন প্রধানমন্ত্রী। সে সময় কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন তিনি।

‘হংসবলাকা’ পরিদর্শনকালে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী এ কে এম শাহজাহান কামাল, মন্ত্রণালয়টির জাতীয় সংসদে স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মুহাম্মাদ ফারুক খান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও বিমানের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা তার সঙ্গে ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ‘হংসবলাকা’ নাম নিয়ে নতুন এই বিমান ১ ডিসেম্বর শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করে। যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলের বোয়িং ফ্যাক্টরি থেকে টানা ১৫ ঘণ্টা উড্ডয়নের পর এটি বিমানবন্দরে পৌঁছে।

গত ২৯ নভেম্বর সিয়াটলে বোয়িং কর্তৃপক্ষ বিমানের পরিচালক (ফ্লাইট অপারেশন) ক্যাপ্টেন ফারহাত হাসান জামিলের কাছে নতুন এই বোয়িং ড্রিমলাইনারের স্বত্ব হস্তান্তর করে।

বিমানটি ১০ ডিসেম্বর ঢাকা-লন্ডন রুটে প্রথম যাত্রা করবে। এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ জানায়, দুটি ড্রিমলাইনার সপ্তাহে ঢাকা-লন্ডন রুটে ৬টি, ঢাকা-দাম্মাম রুটে ৪টি এবং ঢাকা-ব্যাংকক রুটে ৩টি ফ্লাইট পরিচালনা করবে।

অন্যান্য বিমানের চেয়ে ২০ শতাংশ জ্বালানি সাশ্রয়ী ২৭১ আসনের এই বোয়িং ঘণ্টায় ৬৫০ মাইল গতিতে একটানা ১৬ ঘণ্টা উড্ডয়ন করতে পারে। এতে ৪৩ হাজার ফুট উঁচুতেও ওয়াইফাইয়ের ব্যবস্থা রয়েছে।

এর আগে ‘আকাশবীণা’ নামে প্রথম ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার ১৯ আগস্ট দেশে পৌঁছে। ২০০৮ সালে বাংলাদেশ ও বোয়িংয়ের মধ্যে ২ দশমিক ১ বিলিয়ন ইউএস ডলারে ১০টি নতুন ড্রিমলাইনার কেনার চুক্তি হয়। এর মধ্যে ৭৭৭-৩০০ইআর-এর ৪টি, ৭৩৭-৮০০-এর দুটি হস্তান্তর করা হয়েছে।

এছাড়া আরো দুটি ড্রিমলাইনার ‘রাজহংস’ ও ‘শঙ্খচিল’ আগামী বছরের সেপ্টেম্বরের মধ্যে বহরে যুক্ত হবে।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত