ভিয়েতনামে চলতি মাসের ২৭ এবং ২৮ তারিখ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উনের মধ্যে দ্বিতীয় শীর্ষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
সিএনএন জানায়, মঙ্গলবার স্টেট অব ইউনিয়ন ভাষণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট এ ঘোষণা দেন।
ট্রাম্প বলেন, কোরিয়া উপদ্বীপে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ঐতিহাসিক উদ্যোগ নিতে আমরা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব।
তিনি বলেন, উত্তর কোরিয়ায় জিম্মি আমাদের নাগরিকরা ফিরে এসেছে। তারা পরমাণু কার্যক্রম বন্ধ করেছে এবং গত ১৫ মাসে কোনো ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেনি।
ট্রাম্প বলেন, “আমি যদি যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট না হতাম, তাহলে ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, এ মুহূর্তে আমাদের সবচেয়ে বড় যুদ্ধ হতো উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে।”
তবে কিম জং উনের সঙ্গে তার এখন ভালো সম্পর্ক এমনটা জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, আমাদের অনেক কাজ এখনো বাকি। এজন্য চেয়ারম্যান কিম এবং আমি ভিয়েতনামে আগামী ২৭ ও ২৮ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয়বারের মতো বৈঠকে বসছি।
তবে ভিয়েতনামের কোন শহরে বিশ্বের এই দুই আলোচিত নেতার মধ্যকার শীর্ষ বৈঠকটি হবে, তা নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা। রাজধানী হ্যানয় বা উপকূলীয় শহর দা নাং- এ দুই জায়গার যেকোনো একটিতে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে জানা গেছে।
তবে মধ্যস্থতাকারী এক সূত্রে সিএনএন জানায়, হ্যানয়ের ব্যাপারে আগ্রহ বেশি উত্তর কোরিয়ার। যেহেতু শহরটিতে তাদের দূতাবাস আছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের মত দা নাং শহরের প্রতি। সম্প্রতি শহরটিতে অ্যাপেক সম্মেলন সম্পন্ন হয়েছে। অতএব প্রটোকল বিষয়ে এ শহরটির ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যে নিশ্চিত।
গত জুনে সিঙ্গাপুরে ট্রাম্প ও কিমের প্রথম বৈঠক হয়। এতে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে সামান্যই অগ্রগতি হয়েছে। অন্যদিকে, অবরোধ অব্যাহত রাখায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছে উত্তর কোরিয়া।
জানুয়ারি মাসে কিম জং-উন চার দিনের চীন সফর করে এসেছেন। আগের বছর কিম চীনে তিনবার সফর করেন। ট্রাম্প এবং দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জা-ইনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার আগে পরে ছিল এসব সফর।
পিয়ংইয়ংকে পরমাণু কর্মসূচি বন্ধ করতে আরও সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ জানিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। উত্তর কোরিয়াও চাইছে ওয়াশিংটন সবরকম নিষেধাজ্ঞা যেন তুলে নেয়।
এছাড়াও কোরীয় যুদ্ধের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি টেনে একটি শান্তি চুক্তি এবং দেশটির রাজনৈতিক ব্যবস্থা বজায় থাকার নিশ্চয়তা চাইছে উত্তর কোরিয়া।