বিদ্যমান আইন অনুযায়ী দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অর্থপাচারের মামলা এককভাবে পরিচালনা করতে অক্ষম বলে মন্তব্য করেছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।
বুধবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সফররত মার্কিন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠককালে এসব কথা বলেন। ন্যাশনাল সেন্টার ফর স্টেট অব কোর্টস নামে এ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন রবার্ট লকারি ।
ইকবাল মাহমুদ বলেন, বর্তমানে এনবিআর, সিআইডি, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একাধিক সংস্থা মানিলন্ডারিং মামলা পরিচালনা করছে। দুদক কেবল ঘুষ ও দুর্নীতি সম্পৃক্ত মানিলন্ডারিংয়ের অপরাধ তদন্তের ক্ষমতাপ্রাপ্ত। বাকি ২৬টি সম্পৃক্ত অপরাধ ও সংশ্লিষ্ট মানিলন্ডারিংয়ের তদন্ত অন্যান্য সংস্থাসমূহের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। ফলে এককভাবে দুদক মামলা পরিচালনা করতে পারে না। তবে অর্থপাচারে দুদকের মামলায় সাজার হার শতভাগ।
এ সময় দুদক চেয়ারম্যান আরও বলেন, অর্থপাচারের মাধ্যমে সন্ত্রাসবাদের পাশাপাশি ক্যাপিটাল ফ্লাইয়িংও হচ্ছে, যা দেশের অর্থনৈতিক বিকাশে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।
মার্কিন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা দুদক চেয়ারম্যানকে জানান, তদন্ত ও প্রসিকিউশন বিচারের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। তদন্তকারীরা যেসব সাক্ষ্য প্রমাণাদি সংগ্রহ করবেন, তার সাক্ষ্য প্রমাণ বিবেচনা করে বিশ্লেষণ করবেন প্রসিকিউটররা। অর্থাৎ তদন্তকারী কর্মকর্তা, প্রসিকিউটর এবং বিচারক অপরাধ দমনে নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত। আর অপরাধ দমনে কার্যকর তদন্ত ও প্রসিকিউশনের প্রয়োজন।
এ সময় দুদকের স্থায়ী প্রসিকিউটর নেই’ জানিয়ে ইকবাল মাহমুদ বলেন, শুধু দুদক নয়, সরকারেরও কোনো স্থায়ী প্রসিকিউটর নেই। তারপরও দুদক প্রসিকিউটরদের কার্যক্রম মনিটরিংয়ের জন্য কমিশন অনুমোদিত নীতিমালার আলোকে ব্যবস্থা নিচ্ছে।
দুদক চেয়ারম্যান বাংলাদেশের মানিলন্ডারিং প্রতিরোধে তদন্তকারী কর্মকর্তা, প্রসিকিউটরের এবং সংশ্লিষ্ট বিচারকদের প্রশিক্ষণে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার জন্য প্রতিনিধি দলের প্রতি আহ্বান জানান।