সাভারে যৌতুকের টাকা দিতে না পেরে শ্বশুরবাড়ির নির্যাতনে রাবেয়া আক্তার (১৯) নামে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
খবর পেয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তর জন্য ঢাকার সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় সাভার মডেল থানা-পুলিশ। এ ঘটনায় সাভার মডেল থানায় আত্মহত্যা ও প্ররোচনার অভিযোগে নিহত গৃহবধূর স্বামী মো. সোহানুর রহমান (২০), নিহতের শাশুড়ি শিল্পী বেগম (৩৮) ও শ্বশুর মো. স্বপন মিয়াকে (৪৭) আসামি করে মামলা দায়ের করেন নিহতের বাবা মো. রবিউল আলম।
রোববার দুপুরে এ ঘটনায় আটক গৃহবধূর শাশুড়ি শিল্পী বেগমকে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। এ ছাড়া ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছেন মামলার অন্য আসামিরা। এর আগে শনিবার রাতে সাভারের হেমায়েতপুর জয়নাবাড়ি এলাকায় হাজী আলাউদ্দিনের বাড়ি থেকে নিহতের মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত এক বছর আগে সাভার পৌর এলাকার শাহিবাগ মহল্লার বাসিন্দা রবিউল আলমের মেয়ে মোসা. রাবেয়া আক্তারের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠলে পরিবারের অজান্তে বিয়ে করেন হেমায়েতপুর জয়নাবাড়ি এলাকার মো. স্বপন মিয়ার ছেলে মো. সোহানুর রহমান। বিয়ের পর থেকেই মা-বাবার প্ররোচনায় স্ত্রী রাবেয়ার কাছে ১০ লাখ টাকার যৌতুক দাবি করে আসছিল স্বামী সোহানুর। যৌতুকের টাকা না পেয়ে বিভিন্ন সময় ওই গৃহবধূকে নির্যাতনসহ নানাভাবে চাপ সৃষ্টি ও যৌতুকের টাকা দিতে পারলে আত্মহত্যার প্ররোচনা দিয়ে আসছিল আসামিরা। এ ঘটনায় গত এক মাস আগে স্বামীর পরিবারের সঙ্গে ওই গৃহবধূর পরিবার আলোচনা করলে তাদের দাবিকৃত ১০ লাখ টাকা দিতে না পারলে স্ত্রীকে তালাক দেওয়া হবে বলে জানিয়ে দেয় স্বামী সোহানুর।
শনিবার বিকেলে গৃহবধূ রাবেয়া গলায় ওড়না ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে রাবেয়ার পরিবারকে জানায় স্বামী সোহানুর। খবর পেয়ে রাতে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তর জন্য সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে পুলিশ।
সাভার মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুজন শিকদার বলেন, গৃহবধূ আত্মহত্যার ঘটনায় মামলা দায়েরের পর আসামি শিল্পী বেগমকে গ্রেপ্তার করে দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে। গৃহবধূর স্বামীসহ মামলার অন্য আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে বলেও জানান তিনি।