শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১
দেশ রূপান্তর

ব্যাংকের পর ঋণ শোধে ছাড় পেলেন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গ্রাহক

আপডেট : ০২ নভেম্বর ২০২০, ০২:০৮ এএম

ব্যাংকের মতো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকরাও স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি ঋণের কিস্তি দিতে না পারলে খেলাপি হবেন না। মহামারী করোনার প্রাদুর্ভাবে ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকদের ঋণ পরিশোধে ডিসেম্বর পর্যন্ত ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ থেকে ছাড়ের মেয়াদ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর সার্কুলারটি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান নির্বাহীদের পাঠানো হয়েছে।

করোনাভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পগুলোকে ভর্তুকি সুদে ঋণসহায়তা দেওয়া ছাড়াও পুরো এক বছর কিস্তি পরিশোধের বাধ্যবাধকতা থেকে রেহাই দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। মহামারীর প্রভাবে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের লোকসানের কথা বিবেচনা করে প্রথম দফায় চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত এই ছাড় দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে দুই দফায় তা বাড়িয়ে ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়।

আর গতকাল নতুন নির্দেশনায় বলা হয়, জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে কোনো গ্রাহক কিস্তি পরিশোধ করতে না পারলে জানুয়ারি থেকে ওই কিস্তির পরিমাণ ও সংখ্যা পুনরায় নির্ধারণ করতে পারবে আর্থিক প্রতিষ্ঠান। এক্ষেত্রে একজন গ্রাহক যে কয়টি কিস্তি দিতে ব্যর্থ হবে ঠিক সেই কয়টি কিস্তি পরিশোধে সমান সময় দিয়ে নতুন পরিশোধসূচি তৈরি করতে হবে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে। এসব ঋণের সুদ হিসাবের ক্ষেত্রে বিদ্যমান নীতিমালা বলবৎ থাকবে এবং এ সময়ে কোনো দ- সুদ বা অতিরিক্ত ফি আরোপ করা যাবে না।

এর আগে গত ২৮ সেপ্টেম্বর ব্যাংকের গ্রাহকদের ঋণ পরিশোধের ছাড় ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে একটি সার্কুলার করে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলেছেন, শিল্প-কলকারখানা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে লোকসান কাটিয়ে স্বাভাবিক ধারায় ফিরে আসতে পারে সেজন্যই এমন সুবিধা দেওয়া হয়েছে।

গত জুন পর্যন্ত দেশে কার্যরত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল আট হাজার ৯০৫ কোটি টাকা, যা তাদের বিতরণ করা ঋণের ১৩ দশমিক ২৯ শতাংশ।  খেলাপি করার নির্দেশনা না থাকার পরও গত জুন ত্রৈমাসিকে দেশের ব্যাংক খাতের  খেলাপি ঋণ চার হাজার কোটি টাকা বেড়ে ৯৬ হাজার ১১৬ কোটি টাকা হয়।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত