কুমিল্লার দাউদকান্দিতে বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলায় নাহিদা আক্তার নামে (২৮) নামে এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলার গৌরীপুরে শাপলা হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নামে এ অভিযোগ তোলেন রোগীর স্বজনরা।
শুক্রবার সন্ধ্যায় এ ঘটনার পর রাতেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ স্বজনদের সঙ্গে দুই লাখ টাকায় রফাদফা করেন।
নাহিদা বেগম উপজেলার বারপাড়া ইউনিয়নের বারপাড়া গ্রামের মিয়াজী বাড়ির আশরাফুলের স্ত্রী।
নিহতের স্বামী বলেন, বুধবার (২৯সেপ্টেম্বর) দুপুরে শাপলা হসপিটালে অস্ত্রোপচারের (সিজার) মাধ্যমে তার স্ত্রী নাহিদা বেগম ছেলে সন্তানের জন্ম দেন।
‘পরে তাকে কেবিনে নেওয়া হয়। সেখানে কোনো ডাক্তার ভালো করে দেখাশোনা না করায় পরদিন বৃহস্পতিবার রক্তক্ষরণ হতে থাকে। পরে রক্ত দেয়ার পরও রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় রাত তিনটার সময় আমাদের ঢাকা মেডিকেল নিয়ে যেতে বলে। সেখানে নেয়ার পর দুপুরে তার মৃত্যু হয়।’
আশরাফুল মিয়াজী আরও জানান, সিজার ভালোভাবে করা হয়নি। সিজার করার পরপরই পেট ফুলতে থাকে। পেটের দুই পাশ দিয়ে রক্ত পড়া শুরু হলেও ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ ও ডাক্তার কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। আমরা বারবার ডাক্তারের কথা বলেছি। কিন্তু ডাক্তার আসেনি। তাদের অবহেলায় আমার স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে রফাদফাকারীদের একজন বলেন, ‘শুক্রবার সন্ধ্যায় নাহিদার লাশ বাড়িতে আনার পর হাসপাতালের পরিচালক চান মিয়া নিহতের বাড়িতে আসেন। মাগরিবের পরে বারপাড়া কলেজের দক্ষিণ পাশে মসজিদের হুজুরখানায় বসে দুই লাখ পঁচিশ হাজার টাকায় মিলমিশ করা হয়।’
গাফিলতি বা অবহেলার কথা অস্বীকার করে চান মিয়া বলেন, ‘সিজার করার পরপরই রোগীর অবস্থা খারাপ দেখে ঢাকায় নিতে বলা হয়েছিল। সঙ্গে সঙ্গে না নিয়ে একদিন পরে নিয়ে গেছে। সঙ্গে সঙ্গে নিলে হয়তো এ দুর্ঘটনা ঘটতো না। আর এমনি বসে একটা মিলমিশ হয়েছে।’